শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম, সাঁতার, জগিংয়ের পাশাপাশি খাওয়া নিয়েও থাকতে হয় সতর্ক।
।বাঙালি মাত্রেই ‘তৈল ঢালা স্নিগ্ধ তনু নিদ্রারসে ভরা’। এমন একটি ধারণা রয়েছে অনেকের। যদিও এই কথা সকলের জন্য প্রযোজ্য নয়। তবুও আপাতত অতিমারি পরবর্তী সময়ে আমাদের জীবনচর্যায় যে গুরুতর বদলগুলি ঘটে গিয়েছে, তার মধ্যে প্রধান বদল হল শরীরচর্চার প্রতি মনোযোগী হয়ে ওঠা। শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম, সাঁতার, জগিংয়ের পাশাপাশি খাওয়া নিয়েও থাকতে হয় সতর্ক। যাঁরা জিমে যাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত কড়া ডায়েটে থাকেন, তাঁদের শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণের জন্য প্রোটিন শেকের শরণাপন্ন হতে দেখা যায়। কিন্তু এতে ব্যবহার হওয়া বাজারচলতি রাসায়নিক শরীরের উপকারের পাশাপাশি ক্ষতিও করতে পারে, চিকিৎসকদের একাংশের তাই ধারণা। ফলে তাঁরা পরামর্শ দেন প্রকৃতিক উপায়ে বাড়িতেই নানা বিকল্প ব্যবহার করে প্রোটিন পাউডার তৈরি করে নিতে।
১। ওটমিলে যে প্রচুর প্রোটিন রয়েছে, এ কথা প্রায়ই ভুলে যাই আমরা। ফলে বাড়িতে তৈরি প্রোটিন শেকে ওটসের গুঁড়ো ব্যবহার করলেই হবে কার্যসিদ্ধি।
২। জিরে গুঁড়ো, রসুন শুকিয়ে নিয়ে তার গুঁড়ো আর শুকনো তুলসী পাতা গুঁড়ো করে উপযুক্ত অনুপাতে প্রোটিন পাউডারের পরিবর্তে ব্যবহার করুন। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমার আশঙ্কাও হবে ক্ষীণ।
৩। পেস্তা, কাঠবাদাম, কাজু, এবং নারকেল গুঁড়ো করে নিয়মিত ব্যবহার করুন প্রোটিন পাউডার হিসাবে। বাদামের পুষ্টিগুণ এবং নারকেল রাখবে আপনাকে সতেজ এবং সারাদিন এনার্জিতে ভরপুর।
৪। ডালে থাকা প্রোটিন শরীরচর্চার সময়েও কাজে লাগতে পারে। মসুর, মুগ, বিউলি প্রভৃতি বিভিন্ন ডালের গুঁড়ো প্রোটিন পাউডারের বদলে ব্যবহার করতে পারেন। স্বাদ নিয়ে ছুৎমার্গ থাকলে সঙ্গে দিন এক চামচ মধু।