নিরামিষ খাবারেও রয়েছে ভরপুর মাত্রার প্রোটিন
যাঁরা আমিষ খান না, তাঁদের একটা প্রশ্নের মুখোমুখি প্রায়ই হতে হয় যে— তাঁরা শরীরে প্রোটিনের প্ৰয়োজনীয়তা পূরণ করেন কী ভাবে! কারণ প্রোটিন শরীরের শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াগুলির জন্য অত্যাবশ্যক শক্তি সরবরাহ করে এবং আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।আর ছোটবেলা থেকেই জীবনবিজ্ঞানের বই পড়িয়ে আমাদের জানানো হয় যে ডিম, মাছ ,মাংস প্রভৃতি আমিষ খাবারেই থাকে প্রোটিন যা আমাদের শরীরে দরকারি শক্তি বা এনার্জি সরবরাহ করে। অথচ বিশ্বের বহু বিখ্যাত ক্রীড়াবিদই হচ্ছেন নিরামিষাশী। আবার অমিতাভ বচ্চন, করিনা কাপুরদের মতো দাপুটে বহু তারকাও তো আমিষ খাওয়া ছেড়ে পুরোপুরি নিরামিষ খেয়েই একের পর এক ছবিতে দুর্ধর্ষ অভিনয় করছেন। তাঁদের শরীরে নিশ্চিত এনার্জির কোনও ঘাটতি ঘটছে না। ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে বিবিধ নিরামিষ খাবারেও রয়েছে ভরপুর মাত্রার প্রোটিন। অনেক উদ্ভিদ ভিত্তিক খাবার রয়েছে যা প্রোটিন সমৃদ্ধ। নিরামিষাশীদের জন্যও তাদের প্রোটিনের মাত্রা বাড়ানোর প্রচুর বিকল্প রয়েছে।
১। বিন
সয়াবিনে থাকে ভরপুর মাত্রায় প্রোটিন । এ ছাড়া রাজমা প্রভ়়ৃতি বিনগুলিও প্রোটিনের দুর্দান্ত উত্স। প্রকৃতপক্ষে, সব ধরনের বিন সর্বভারতীয় খাবারেরই একটি অংশ এবং স্থানীয় যে কোনও বাজার থেকে সহজে পাওয়া যেতে পারে।
২। ডাল
ডাল প্রত্যেক ভারতীয় রান্নাঘরের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। আর সব রকম ডালেই প্রোটিন থাকে বলে বিশেষজ্ঞরা আমাদের জানান। বিশেষ করে মুসুর ডালে প্রোটিনের মাত্রা যথেষ্ট। এ ছাড়াও মুগ, ছোলা, অড়হর, বিউলি প্রভ়়ৃতি সব ডালেই থাকে আবশ্যক প্রোটিন ।
৩। বাদাম
কাঠবাদাম , কাজু, পেস্তা, আখরোট, প্রভৃতি বাদামেও থাকে বিশেষ সমৃদ্ধ প্রোটিন। বাদামে থাকা ফসফরাস, সেলেনিয়াম , ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম দেহের জন্য উপকারী। ফলে নিরামিষাশী মানুষজনের রোজকার ডায়েটে যদি অল্প পরিমাণে বাদাম রাখা যায় তা হলে প্রোটিনের ঘাটতি নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগতে হবে না আর।
৪। ওটস
স্বাস্থ্যসচেতন সব মানুষই ইদানীং ওটস নামক খাবারটির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন। কিন্তু ওটসে পুষ্টিগুণের পাশাপাশি এর মধ্যে থাকা প্রোটিন দেহের জন্য বিশেষ উপকারী। আমিষ খাবার খান না এমন মানুষজনের ডায়েটে নিয়মিত ওট রাখা তাই অত্যন্ত জরুরী।