উৎসবের আবহে কী ভাবে জেএন.১-এর হাত থেকে রেহাই পাবেন? ছবি: সংগৃহীত।
এ বার রাজধানীতেও কোভিডের নয়া উপরূপ জেএন.১-এর হদিস মিলল। দিল্লিতে কোভিডের নয়া উপরূপের দেখা মিলতেই একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে এমস। দিল্লি ছাড়া গোয়া, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, কেরল, রাজস্থান, তামিলনাড়ু এবং তেলঙ্গানা এবং গুজরাতে আগেই পাওয়া গিয়েছে কোভিডের নতুন উপরূপ। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ১০৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন জেএন.১ উপরূপে। জেএন.১ আক্রান্ত বেশির ভাগ করোনা রোগী বাড়িতেই নিভৃতবাসে রয়েছেন। এখনও পর্যন্ত তাঁদের তেমন গুরুতর কোনও শারীরিক সমস্যা দেখা যায়নি।
চলছে উৎসবের মরসুম। নববর্ষ উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গায় পার্টি, উৎসব, অনুষ্ঠান লেগেই থাকবে। এই আবহে জেএন.১-এর সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা। এই সময় নিজেকে সুস্থ রাখতে হলে মেনে চলতে হবে কিছু বিধিনিষেধ। উৎসবের আবহে কী ভাবে নিজেকে সুস্থ রাখবেন, জানালেন আনন্দপুরের ফোর্টিস হাসপাতালের চিকিৎসক জয়দীপ ঘোষ। চিকিৎসক বলেন, ‘‘উৎসবের আবহে জেএন.১-এর প্রকোপ ঠেকিয়ে রাখতে সতর্ক হয়ে উঠতে হবে মানুষকে। বাইরে অনেক মানুষের ভিড়ে গেলেই কোভিডের ঝুঁকি বাড়বে, তার বদলে বাড়িতে নিজস্ব পরিসরে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে উদ্যাপন করুন। এই সময় বাস, ট্রেন ও মেট্রোতেও ভীষণ ভিড় হচ্ছে, তাই রাস্তায় বেরোলেই আবার মাস্ক পরা শুরু করুন।’’
শীতের মরসুমে ঘরে সর্দিকাশি, জ্বর লেগেই রয়েছে। তবে অসুখ হলে আমরা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ওষুধ নিতে শুরু করি। গলায় ব্যথা, ডায়ারিয়া, ফুসফুসে সংক্রমণের মতো উপসর্গগুলি দেখলে বাড়িতে নিভৃতবাসে থাকাই ভাল। ওই সময় বাইরে বেরোলে অন্যেরও সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে। খুব বেশি বাড়াবাড়ি হলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা দরকার।
উৎসবের মরসুমে অনেকেই বাইরে ঘুরতে যান। বেড়ানোর সময়েও বেশ সতর্ক থাকতে হবে। জয়দীপ বলেন, ‘‘বেড়াতে গেলে অবশ্যই কোভিডবিধি মেনে চলুন। সঙ্গে অবশ্যই স্যানিটাইজ়ার রাখুন। বারে বারে হাত ধোয়ার অভ্যাস করুন। টিকা না নেওয়া থাকলে অবশ্যই টিকার ডোজ় সম্পূর্ণ করে তবেই বেড়াতে যান। টিকাই রুখতে পারে কোভিডের হানা।’’
করোনার নতুন উপরূপ জেএন.১-এর খোঁজ মিলেছিল গত সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকায়। তার পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে জেএন.১-এর সন্ধান মিলেছে। ইউরোপের দেশগুলিতে উদ্বেগের মাঝে চিনেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। এ দেশে এমন পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য আগে থেকেই সতর্ক হতে বলছেন চিকিৎসকেরা।