দিনে দু’লিটার জল খেলে কী কী হবে? ছবি: সংগৃহীত।
গরমকালে না হয় প্রচণ্ড ঘাম হয়। শরীর থেকে অনেকটা জল বেরিয়ে যায়। শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। তাই দিনে অন্তত পক্ষে ২ থেকে ৩ লিটার জল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু শীতকালে তো সেই সমস্যা নেই। তা সত্ত্বেও জলের পরিমাণ কম-বেশি করার উপায় থাকে না। জল তেষ্টা না পেলেও জল খেতেই হয়। কেন? চিকিৎসকেরা বলছেন, শারীরবৃত্তীয় কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক রাখার জন্য জল খাওয়া জরুরি। কিন্তু সেই জলের পরিমাণ ২ থেকে ৩ লিটারেই সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। কারণ, বেশি জল খেলে আবার উল্টো বিপত্তি ঘটতে পারে।
নিয়মিত ২ থেকে ৩ লিটার জল শরীরে ঠিক কোন কোন কাজে সাহায্য করে?
১) দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখে
দেহের নিজস্ব তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে জল। পর্যাপ্ত জল খেলে ঘামের পরিমাণ বাড়ে। ঘামলে শরীর ঠান্ডা থাকে। আবহাওয়ার তাপমাত্রা বেড়ে গেলে শরীরকে ভিতর থেকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে ঘাম।
২) দূষিত পদার্থ দূর করে
শরীরে জমা টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে জল। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল না খেলে কোষ্ঠ পরিষ্কার হয় না। ঘাম এবং মূত্রের পরিমাণও কমতে থাকে। কিডনির কাজ ঠিক রাখতে গেলেও জল খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
৩) খাবার হজমে সাহায্য করে
খাবার খাওয়ার পর পর্যাপ্ত পরিমাণে জল না খেলে হজমে গোলমাল হতে পারে। খাবার পরিপাক তো বটেই, খাদ্যনালি থেকে পাকস্থলী পর্যন্ত খাবার নিয়ে যেতেও সাহায্য করে জল।
৪) অস্থিসন্ধির কার্যক্ষমতা স্বাভাবিক রাখে
শরীরের বিভিন্ন জায়গায় থাকা তরুণাস্থি এবং অস্থিসন্ধির কার্যকারিতা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে জল। অস্থিসন্ধি নমনীয় রাখতে জলের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
৫) রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে
রক্ত প্রবাহে গতি আনতেও সাহায্য করে জল। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং শরীর হাইড্রেটেড রাখতে দিনে অন্তত পক্ষে ২ লিটার জল খাওয়া প্রয়োজন।