অনিয়মিত ঋতুঃস্রাবের সমস্যাতেও হিং দারুণ কাজ করে। ছবি: সংগৃহীত
জলখাবারে হিংয়ের কচুরি বেশ জনপ্রিয়। নিরামিষ রান্নার স্বাদ বাড়াতে এক চিমটে হিং যথেষ্ট। তবে শুধু রান্নায় নয়, ঔষধি রূপেও হিংয়ের জবাব নেই।
পেটের নানা সমস্যা, মুখের অরুচি সবই কেটে যায় হিংয়ের গন্ধে। সর্দি-কাশির ক্ষেত্রেও হিং দারুণ উপকারী। এ ছাড়া যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিতেও হিং বেশ কার্যকর। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে যৌনরোগের অনেক ওষুধেই উপাদান হিসাবে হিং ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অনিয়মিত ঋতুঃস্রাবের সমস্যাতেও হিং দারুণ কাজ করে।
তবে আপনি কি কখনও দুধের সঙ্গে হিং মিশিয়ে খেয়েছেন?
৫০ থেকে ৭০ মিলিগ্রাম হিং নিয়মিত দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে পেটের কৃমির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
দুধের সঙ্গে হিং খেলে আর কী কী উপকার পাওয়া যায়?
• অন্ত্রের শুষ্কতা দূর করে
• বদহজম, গ্যাস, পেটে ব্যথা, বমি, হেঁচকির সমস্যা দূর হয়
• কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট খারাপ, পেট ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা থাকলে এই পানীয় খেলে আরাম বোধ হয়।
• পাইলস থেকে মুক্তি দেয়
• লিভারকে সক্রিয় করে শরীরকে হালকা ও তরতাজা করে
• হিংয়ের মধ্যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। তা বৃক্কের ক্ষয় আটকায় এবং বৃক্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
• হিংয়ে থাকা অ্যাসিটিলকোলিন মস্তিষ্কে সঙ্কেত আদান-প্রদানে সাহায্য করে। স্মৃতিশক্তি ও চেতনা বজায় রাখে।
কী ভাবে বানাবেন এই পানীয়?
এক গ্রাম হিং একটি মাটির পাত্রে রেখে ৭২ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রাখুন। তার পর ২০০ মিলিগ্রাম দুধের সঙ্গে এক চামচ সেই মিশ্রণটি মিশিয়ে সকালে খালি পেটে এবং রাতে খাওয়ার এক ঘন্টা পরে পান করুন।