ছবি: সংগৃহীত।
ঢেঁড়স সেদ্ধ খেতেই ভাল লাগে না। স্বাদহীন, পিচ্ছিল এই সব্জি যত মশলা দিয়েই রাঁধা হোক, কিছুতেই মুখে রোচে না। কিন্তু এই সব্জির তো পুষ্টিগুণ কম নয়। ম্যাগনেশিয়াম, ফোলেট, ভিটামিন এ, সি, কে এবং বি৬-এর মতো প্রয়োজনীয় খনিজ রয়েছে এই সব্জিতে। ঢেঁড়স ভেজানো জল দিয়ে চুলের যত্ন নেওয়ার বেশ কিছু ভি়ডিয়ো ইদানীং সমাজমাধ্যম খুললেই চোখে পড়ছে। কিন্তু সেই জল যে শরীরের এত উপকার করে তা হয়তো অনেকেই জানেন না। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ঢেঁড়স ভেজানো জল ডায়াবিটিকদের জন্য বিশেষ উপকারী। এ ছাড়াও এই পানীয়ে আরও অনেক গুণ রয়েছে।
১) হার্ট ভাল রাখে:
রক্তে কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারয়েড্স এবং এলডিএল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে ঢেঁড়স ভেজানো জল। এ ছাড়া ঢেঁড়সের জলে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানও রয়েছে। যা প্রদাহজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। হার্টের শিরা এবং ধমনী সংক্রান্ত জটিলতা অনেকটাই নিরাময় হয় এই পানীয় খেলে। ঢেঁড়সের মধ্যে রয়েছে ‘পলিফেনল’, যা সহজে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। ফলে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়ানো যায়।
২) রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে:
ঢেঁড়সের মধ্যে রয়েছে ফাইবার, যা বিপাকক্রিয়া চাঙ্গা রাখতেও সাহায্য করে। বিপাকহার ভাল হলে শারীরবৃত্তীয় সব কাজ ভাল হয়। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রক্তে ইনসুলিনের কার্যকারিতা সঠিকভাবে পরিচালিত হয় ঢেঁড়স ভেজানো জল খেলে। তবে, এ বিষয়ে নিশ্চিত করে বলার মতো তথ্যপ্রমাণ এখনও মেলেনি।
৩) চোখের জন্য ভাল:
ঢেঁড়সের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ। চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এই ভিটামিনের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। গ্লুকোমা, অল্পবয়সে চোখে ছানি পড়ার মতো সমস্যা রুখে দিতে পারে ঢেঁড়সের জল। এ ছাড়া এই সব্জির মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, বিটা-ক্যারোটিন, লুটেইন এবং জ়ানথিন— এই সব উপাদানই দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে সাহায্য করে।
কী ভাবে ঢেঁড়স ভেজানো জল খাবেন?
প্রথমে বেশ কয়েকটি ঢেঁড়সের বোঁটা কেটে, ভাল করে ধুয়ে নিন। এ বার কাচের পাত্রে জল দিয়ে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে সেই জল থেকে ঢেঁড়সগুলি ছেঁকে তুলে নিন। এ বার ঢেঁড়স ভেজানো জল হালকা গরম করে নিন। বেশি ফোটানোর প্রয়োজন নেই। ঘন হয়ে গেলে খেতে অসুবিধে হতে পারে। শুধু ঢেঁড়সের জল খেতে ভাল না লাগলে অল্প মধু, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে খাওয়া যেতে পারে।