অভিনেত্রী আলিয়া ভট্ট। ছবি: সংগৃহীত।
‘কান টানলে মাথা আসে’ এ কথা তো নিশ্চয়ই শুনেছেন। কিন্তু ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে যে কানে মালিশ করতে হয়, তা আগে কখনও শোনেননি। ত্বকের নানা সমস্যা নিরাময়ে হরেক রকম প্রসাধনী বাজারে আসে। তা নিয়ে সমাজমাধ্যমে চর্চাও হয়। ত্বকের হারানো জেল্লা ফিরে পেতে সারা দিনে মাত্র তিন মিনিটের কান মালিশের তত্ত্বটি এখন রীতিমতো ‘ভাইরাল’। কিন্তু সকলের ক্ষেত্রেই কি এই টোটকা একই রকম ভাবে কাজ করে? কী ভাবে করতে হয় এই মালিশ?
ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, কান এবং কান সংলগ্ন নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় অর্থাৎ প্রেশার পয়েন্টে বিশেষ কায়দায় চাপ দিয়ে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। ত্বকের জেল্লাও বাড়ে। আয়ুর্বেদ এবং চিনের প্রাচীন চিকিৎসা শাস্ত্রেও এই পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয়। বিজ্ঞান বলছে, কানের সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অংশের যোগ রয়েছে। তাই কানে মালিশ করলে শরীরের অভ্যন্তরীণ সমন্বয় ভাল হয়। ক্লান্তি, মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকা যায়।
সালোঁর পেশাদার কর্মীদের মত, ফেশিয়াল করার সময় মুখের সঙ্গে কান-সংলগ্ন অঞ্চলেও মাসাজ করা হয়। কানের আশপাশে এমন কিছু প্রেশার পয়েন্ট রয়েছে, যেগুলি উজ্জীবিত হলে ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। এ ছাড়া ত্বক ভাল রাখতে ‘লিম্ফ্যাটিক ড্রেনেজ’-এর দিকে নজর দেওয়াও জরুরি। এর ফলে যেমন ত্বকে রক্ত চলাচল ভাল হয়, তেমন মুখের বিভিন্ন অংশে ফোলা ভাবও কমে। তবে, সেই মাসাজ তো যে কেউ করতে পারেন না। তার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। দক্ষ, পেশাদার সালোঁ কর্মী ছাড়া মাসাজ করতে গেলে কিন্তু হিতে বিপরীতও হতে পারে।
কী ভাবে করবেন এই মাসাজ?
মাসাজ শুরু করার আগে বেশ কিছু দিন এই বিষয়ে ইন্টারনেটে পড়াশোনা করে নিতে পারেন। কোন পদ্ধতিতে এই মাসাজ করা হচ্ছে, তা ভাল করে শিখে নেওয়া যেতে পারে। কানের লতির পিছন দিকে মাসাজ শুরু করা যেতে পারে। হালকা হাতে ধীরে ধীরে কানের উপরের দিক পর্যন্ত মাসাজ করা যেতে পারে। মাসাজ করার সময় যাতে সহজেই হাত এক জায়গা থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া যায়, তার জন্য মুখে মাখার কোনও ক্রিম বা ফেশিয়াল অয়েল মেখে নেওয়া ভাল। ঘরে-বাইরে এত কাজের ভিড়ে আলাদা করে কান মাসাজ করার সময় না-ও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে প্রতি দিন বাড়ি ফিরে যখন ‘ক্লিনজ়িং’, ‘টোনিং’ এবং ‘ময়েশ্চারাইজ়িং’ করেন, তখনই কানে মাসাজ করে নিতে পারেন।