মাত্রাতিরিক্ত ওজন অনিয়মিত ঋতুস্রাবের কারণ হয়ে উঠতে পারে। ছবি: শাটারস্টক।
এ মাসে অপেক্ষা করতে হচ্ছে? সময় মতো শুরু হয়নি ঋতুস্রাব? আগেই ভেবে বসবেন না যে আপনি অন্তঃসত্ত্বা। এর পিছনে অন্য শারীরিক সমস্যাও থাকতে পারে। ঋতুস্রাবে দেরিতে মানেই সব সময়ে এক ইঙ্গিত দেয় না। ফলে ঋতুস্রাব শুরু হচ্ছে না বলে অন্তঃসত্ত্বা কি না, তা যাচাই করতে দৌড়নোর আগে জেনে রাখা উচিত আর কোন কোন কারণে এই সমস্যা হতে পারে।
মানসিক চাপ: বেশির ভাগ মহিলাদের ঋতুস্রাব পিছিয়ে যাওয়ার জন্য এই কারণ দায়ী। কাজের চাপ কিংবা সংসারের নানা ঝঞ্ঝাটে মন যদি অস্থির থাকে, তবে তার প্রভাব এ ভাবেও শরীরের উপরে পড়ে। মানসিক চাপ হলে অনিদ্রার সমস্যাতেও ভুগতে হয়। এ কারণেও ঋতুস্রাব পিছিয়ে যেতে পারে।
পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম: হরমোনের মাত্রা ওঠানামায় এ ধরনের অসুবিধা যে হতে পারে, তা জানা নেই অনেকেরই। মুখে অত্যধিক মাত্রায় লোম গজানো এবং হঠাৎ ওজন বাড়তে শুরু করা হল এই অসুখের সবচেয়ে পরিচিত উপসর্গ। এই রোগের কারণেও অনেক সময়ে মাসিক ঋতুস্রাবের উপরে পড়ে।
থাইরয়েড: থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে শরীরে নানা ধরনের অসুবিধা দেখা দিতে পারে। তার মধ্যে ঋতুস্রাব পিছিয়ে যাওয়াও অন্যতম। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে বেরোনো হরমোনের ওঠানামার জেরে হাইপারথাইরয়েডিজম বা হাইপোথাইরয়েডিজম হতে পারে। এই রোগে আক্রান্ত হলে সারা জীবন ভুগতে হয়।
অতিরিক্ত ব্যায়াম: শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চার বিকল্প নেই। তবে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ব্যায়াম করলে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। যা ঋতুস্রাবে প্রভাব ফেলে।
স্থূলতা: মাত্রাতিরিক্ত ওজন অনিয়মিত ঋতুস্রাবের কারণ হয়ে উঠতে পারে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। শুধু অনিয়মিত ঋতুস্রাবই নয়, স্থূলতা আরও অন্যান্য শারীরিক সমস্যার জন্ম দিতে পারে। তাই সামগ্রিক ভাবে সুস্থ থাকতে ওজন কমানো উচিত।