মাইগ্রেন থাকলে কোন ৫ ভুল এড়িয়ে চলবেন? ছবি: সংগৃহীত।
কাজের মাঝে হঠাৎই মাথার এক পাশে তীব্র যন্ত্রণা শুরু। শুধু ব্যথাই নয়, সঙ্গে বমি বমি ভাব। যন্ত্রণা এক পাশ থেকে শুরু হয়ে গোটা মাথায় ছড়িয়ে পড়ছে। এই উপসর্গগুলি মাইগ্রেনের রোগীদের কাছে বেশ পরিচিত। একটানা বেশ ক’দিন থাকার কারণে এই যন্ত্রণা শরীর কাবু করে দেয়। আমাদের অজান্তেই কিছু অভ্যাস এই ব্যথা বাড়িয়ে তোলে। জেনে নিন মাইগ্রেন থাকলে কোন কাজ ভুলেও নয়।
১) মাইগ্রেন থাকলে অতিরিক্ত চিনি দেওয়া আছে, এমন খাবার এড়িয়ে চলুন। যত কম চিনি খাবেন, ততই ভাল। রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়লে মাইগ্রেনের ব্যথাও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
২) সারা দিনে পরিমাণ মতো জল না খেলেও কিন্তু সমস্যা। দিনে অন্তত আড়াই লিটার জল না খেলে ডিহাইড্রেশন হয়। মাথাব্যথার অন্যতম কারণ কিন্তু হতে পারে এই ডিহাইড্রেশন।
৩) প্রতি দিন চেষ্টা করুন অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমোতে। একান্ত না পারলে অন্তত ৬ ঘণ্টা কিন্তু ঘুমোতেই হবে। এক দিন কম ঘুমোলেন, কোনও এক দিন বেশি ঘুমোলেন, এমন না করে ঘুমের একটা নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ করুন। ঘুমের অনিয়ম থেকেও কিন্তু মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়তে পারে।
৪) চড়া রোদ কিংবা কনকনে ঠান্ডা— দু’টিই মাইগ্রেনের জন্য খারাপ। তাই এমন আবহাওয়ায় একটু সাবধানে থাকতে হবে। এই সময়ে ব্যায়ামের শরণ নিন, যার প্রভাবে মাইগ্রেন দূরে থাকতে পারে। শীতের দিনে গরম পোশাক আর গরমে ছাতা ও রোদচশমা ব্যবহার করতেই হবে।
৫) অনেক ক্ষণ না খেয়ে থাকলে বদহজমের সমস্যা শুরু হয়। গ্যাসের সমস্যা মাইগ্রেনের ব্যথা আরও বাড়িয়ে তোলে। তাই কাজের মাঝেও সময় বার করে খেতে হবে।