সন্তান ধারণে নারী এবং পুরুষের শারীরিক এবং মানসিক এই দুইয়ের প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ। ছবি- সংগৃহীত
বন্ধ্যাত্বের সমস্যা এখন আর শুধু মহিলাদের নয়। একটানা বসে কাজ করা, শরীরচর্চা না করা, মানসিক চাপের কারণে পুরুষদের মধ্যেও এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমছে শুক্রাণুর গুণগত মানও। বিশেষজ্ঞদের মতে, সন্তানধারণের জন্য শুধু শারীরিক ভাবে মিলিত হলেই হবে না। চাই মানসিক সুস্থতাও। সন্তান ধারণে নারী এবং পুরুষের শারীরিক এবং মানসিক এই দুইয়ের প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ। আয়ুর্বেদ মতে, নির্দিষ্ট কিছু ভেষজ আছে যেগুলি বন্ধ্যাত্বের সমস্যায় উভয়ের ক্ষেত্রেই সমান কার্যকরী।
১) অশ্বগন্ধা
যৌনস্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য বহু প্রাচীন কাল থেকেই অনেকে এই ভেষজের উপর ভরসা করেন। গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে যে, অশ্বগন্ধার মধ্যে টেস্টোস্টেরন হরমোনের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলার ক্ষমতা রয়েছে। তা-ই পুরুষদের মধ্যে শুক্রাণু পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এই ভেষজটি।
২) শিলাজিৎ
অশ্বগন্ধার মতো এই ভেষজটিও পুরুষদের শরীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। যৌনক্রিয়ায় গতি দিতে এবং প্রজননে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই শিলাজিৎ।
৩) মুসলি
প্রাচীন আয়ুর্বেদেও এই ভেষজটির উল্লেখ পাওয়া যায়। বন্ধ্যাত্বের সমস্যা এবং যৌন স্বাস্থ্যের উন্নতিতে মুসলি বিশেষ ভাবে কার্যকরী। সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য পুরুষদের দেহে শুক্রাণুর পরিমাণ বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি, মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে এই ভেষজটি।
৪) আমলকি
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর আমলকি শুধু চুল বা ত্বকের সমস্যা সমাধান করে না। মেয়েদের ঋতুস্রাবজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখে। মেয়েদের বন্ধ্যাত্ব রোধে বিশেষ ভাবে উপকারী আমলকি।
৫) শতাভরি
মহিলাদের যৌন স্বাস্থ্য ভাল রাখা এবং শারীরিক চাহিদা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এই ভেষজটি।