Mental Health

সঙ্গী ঘন ঘন দাঁত দিয়ে নখ কাটেন? এমন অভ্যাস যে মানসিক চাপের লক্ষণ হতে পারে, তা জানেন?

বয়ঃসন্ধির সময়ে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়া, কর্মক্ষেত্রে বা পড়াশোনায় প্রতিযোগিতার কারণেও অনেক সময় মনের উপর চাপ পড়ে। কিন্তু বাইরে থেকে দেখলে তা বুঝবেন কী করে?

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৩ ১৪:৪৮
Symbolic image of nail biting

মানসিক চাপ বা উদ্বেগের মধ্যে থাকলে নিজের অজান্তেই দাঁত দিয়ে নখ কাটেন অনেকে। ছবি- সংগৃহীত

শারীরিক কষ্ট দেখলে যে কেউ চট করে ধরে ফেলতে পারেন। কিন্তু মনের গভীরে কোনও রোগ পোষা থাকলে তা সাদা চোখে সকলে দেখতে পান না। অথচ এই রোগ চাপা থাকতে থাকতে এক দিন তা বিশাল আকার ধারণ করে। যদিও মনে কিছু হলে তার ছাপ মুখে ফুটে উঠবেই। সে আপনি যত প্রসাধনীই ব্যবহার করুন না কেন, মনের খবর চাপা থাকবে না। কিন্তু এই ধরনের সমস্যাকে অনেকেই খুব একটা গুরুত্ব দেন না। বিশেষ করে বয়ঃসন্ধির সময়ে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়া, কর্মক্ষেত্রে বা পড়াশোনায় প্রতিযোগিতার কারণেও অনেক সময় মনের উপর চাপ পড়ে। এ ছাড়াও আরও কিছু লক্ষণ আছে, যা বাইরে থেকে দেখলে বোঝা যায়, কাছের মানুষটি অবসাদে ভুগছেন কি না।

Advertisement

১) দাঁত দিয়ে নখ কাটা

কোনও ব্যক্তি মানসিক চাপ বা উদ্বেগের মধ্যে থাকলে নিজের অজান্তেই দাঁত দিয়ে নখ কাটেন। আসলে ওই সময় মাথার মধ্যে ভাল-মন্দ নানা রকম চিন্তাভাবনা ঘুরপাক খেতে থাকে। অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না, ওই সময় ঠিক কী করা উচিত।

২) মেজাজ বিগড়ে যাওয়া

সামান্য কথায় রেগে যাওয়া, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়ার মতো ব্যাপার কিন্তু মানসিক চাপের লক্ষণ হতে পারে। কোনও কারণে চিন্তা বা উদ্বেগ আগে থেকেই যদি মস্তিষ্কের বেশির ভাগ অংশ জুড়ে থাকে, তখন সাধারণ, স্বাভাবিক কথা হলেও তা শুনতে ভাল লাগে না। সকলের কাছে যা স্বাভাবিক, উদ্বেগের মধ্যে থাকা মানুষটির কাছে তেমনটা না-ও হতে পারে।

৩) ঘাড়ের যন্ত্রণা

মনের চাপ বাড়লে মাথায়, ঘাড়ে কষ্ট হওয়া স্বাভাবিক। স্ট্রেস বা চাপ পেশির টান সৃষ্টি করতে পারে, যা থেকে ঘাড়, কাঁধ এবং পিঠে ব্যথা হতে পারে। এই ধরনের ব্যথা-বেদনা কিন্তু মানসিক চাপের লক্ষণ। স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ব্যথা এবং যন্ত্রণা অনুভব করলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। পাশাপাশি বেড়ে যেতে পারে মাইগ্রেনও।

Symbolic Image of mood swing

কাজেই মানসিক চাপের কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে তা উপেক্ষা না করাই ভাল। ছবি- সংগৃহীত

৪) অনিদ্রা

অতিরিক্ত মানসিক চাপ ঘুমিয়ে পড়া এবং ঘুমিয়ে থাকা কঠিন করে তুলতে পারে। ফলে দেখা দিতে পারে অনিদ্রার সমস্যা। অনিদ্রা ও মানসিক চাপ কার্যত একটি চক্রাকার সম্পর্কের মতো। একটি অপরটিকে ডেকে আনে। কাজেই মানসিক চাপের কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে তা উপেক্ষা না করাই ভাল।

৫) ক্লান্তি

মানসিক চাপ বেশি থাকলে শরীরের মধ্যে নানা রকম অস্থিরতা দেখা যায়। দীর্ঘ ক্ষণ এই অবস্থা বজায় থাকলে ক্লান্তি দেখা দেয়। পাশাপাশি মানসিক চাপ বেশি থাকলে শরীরে স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বাড়তে থাকে। এই হরমোনগুলি দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করলে শরীর পরিশ্রান্ত হয়ে যায়। তাই অতিরিক্ত ক্লান্ত লাগে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement