ভিটামিন ই ও ফাইবার হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। ছবি-প্রতীকী
বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। অনেকেই সকালে এক মুঠো জলে ভেজানো কাঠবাদাম খেয়ে থাকেন। এই বাদাম সহজলভ্য। তাই সেটি খাওয়ার চলই বেশি। কিন্তু কাঁচা কাঠবাদামও যে শরীরের জন্য দারুণ উপকারী, সে খবর রাখেন?
ভাবছেন, কাঁচা কাঠবাদাম আবার কেউ খায় নাকি? পুষ্টিবিদদের মতে, রোজের ডায়েটে এই বাদাম রাখলে নানা রোগব্যধি দূর হয়। এই বাদামের খোসা সবুজ রঙের হয়। স্বাদেও তেতো হয়। তাই খোসা ছাড়িয়েই এই বাদাম খাওয়া ভাল।
কী কী স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে এই বাদামের?
হজমশক্তি বাড়ায়: এই বাদামে ভরপুর মাত্রায় ফাইবার থাকে। পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য কাঁচা কাঠবাদাম খেতেই পারেন। হালকা খিদের সময়ে এই বাদাম খেলে পেট অনেক ক্ষণ ভরা থাকে। হজমশক্তি ও বিপাকহার বাড়াতে এই বাদাম ডায়েটে রাখা যেতে পারে।
রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: এই বাদামে ভাল পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে, ফলে এই বাদাম খেলে শরীরের টক্সিন পদার্থগুলি বেরিয়ে যেতে পারে। প্রদাহের ঝুঁকি কমে। মরসুমি সর্দি-কাশি-জ্বরের হাত থেকেও রক্ষা করে এই বাদাম।
মন ভাল রাখে: মন ভাল রাখতেও সাহায্য করে কাঁচা কাঠবাদাম। ট্রিপ্টোফ্যান নামক একটি পদার্থ শরীরে যায় কাঠবাদামের মাধ্যমে। তা থেকে তৈরি হয় সেরোটোনিন। এই হরমোনই মন ভাল রাখতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত কাঠবাদাম খেলে অবসাদ বা উদ্বেগের মতো সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
হৃদ্যন্ত্রের সুরক্ষা: কাঠবাদামে ভিটামিন ই থাকে। ভিটামিন ই ও ফাইবার হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। বাদামে ফ্যাট থাকা মানেই যে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর, এ ধারণা ভুল। বরং বাদামে থাকা ফ্যাট আদতে শরীরের জন্য ভাল বলে তা হাই কোলেস্টেরলের মতো সমস্যারও মোকাবিলা করে। আবার অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকার কারণে হার্টের রোগের আশঙ্কা কমায়, বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করে।
ত্বকের জেল্লা বাড়ায়: কাঠবাদামে ভিটামিন ই-র পরিমাণও অনেক। ফলে সেই উপাদানের মাত্রাও বাড়ে শরীরে। তার প্রভাবে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য, রক্ত চলাচল, চোখের স্বাস্থ্য— সবই ভাল থাকে। পাশাপাশি, ত্বকের যত্নও নেয় ভিটামিন ই। কয়েক দিনেই চেহারার জেল্লা ফেরায়।
চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখে: ভিটামিন ই, এ, বি১, বি৬ থাকার ফলে চুলও ভাল রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে কাঠবাদাম। ম্যাগনেশিয়ামের জন্য চুল গোড়া থেকে সুস্থ থাকে এবং দ্রুত বাড়ে।