নারকেল থেকে তৈরি চিনি ভাল? ছবি: সংগৃহীত।
চিনিকে দেখতে যতই নিরীহ মনে হোক, তা আদতে নয়। খেতে মিষ্টি হলেও শরীরের জন্য তা যে একেবারেই মিঠে নয়, সে কথা সকলেই জানেন। চিনি বা মিষ্টি খেলে শুধু ডায়াবিটিস নয়, এর সঙ্গে জড়িত নানা ধরনের রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। তাই সাধারণ মানুষ, চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ— সকলেরই নজর থাকে চিনির স্বাস্থ্যকর বিকল্পের দিকে। যা চিনির অভাব পূরণ করলেও শরীরের কোনও ক্ষতি করবে না। অনেকেই রান্নায় সাধারণ চনির বদলে গুড় ব্যবহার করেন। তবে, পুষ্টিবিদেরা বলছেন, তার চেয়েও ভাল হল নারকেলজাত চিনি বা ‘কোকোনাট সুগার’।
শুধু ডায়াবেটিকদের জন্য নয়, স্বাস্থ্য সচেতনদের কাছেও কোকোনাট সুগার বা নারকেল থেকে তৈরি চিনি ইদানীং ‘গেম চেঞ্জার’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই ‘কোকোনাট সুগার’-এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। নানা ধরনের খনিজ এবং ফাইবার রয়েছে এই চিনির মধ্যে।
নারকেলজাত চিনি খেলে শরীরের কী কী উপকার হয়?
১) পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ
নারকেল থেকে তৈরি চিনির মধ্যে রয়েছে আয়রন, জ়িঙ্ক এবং পটাশিয়ামের মতো খনিজ। এই সমস্ত উপাদান শরীরের বিভিন্ন খনিজের ঘাটতি পূরণ করে। পাশাপাশি, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাল রাখতেও ‘কোকোনাট সুগার’-এর যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
২) ডায়াবিটিস বশে রাখে
মিষ্টি হলেও ‘কোকোনাট সুগার’-এর গ্লাইসেমিক ইন়ডেক্স কম। তাই নারকেলজাত চিনি খাওয়ার পর রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কম। তাই ডায়াবেটিকেরাও নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে এই চিনি খেতে পারেন।
৩) অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ
নারকেলজাত চিনির মধ্যে ‘পলিফেনল’ নামক এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। যা শরীরে ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যাল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। শরীরের ‘সেলুলার ড্যামেজ’ সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৪) অন্ত্র ভাল রাখে
নারকেলজাত চিনির মধ্যে রয়েছে ‘ইনিউলিন’ নামক এক ধরনের সহজপাচ্য ফাইবার। এই উপাদানটি অন্ত্রে ভাল ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বাড়িয়ে তোলে। ‘প্রিবায়োটিক’ গোত্রের এই খাবার খেলে অন্ত্র ভাল থাকে।
৫) ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে
এই চিনির মধ্যে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। ফাইবারের পরিমাণ বেশি। তাই সাধারণ চিনি বা গুড়ের বদলে কোকোনাট ‘সুগার খেলে’ ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।