ছবি: সংগৃহীত।
বাড়িতে তৈরি সাধারণ ডাল-ভাত হোক বা রেস্তরাঁ থেকে অনলাইনে আনা বিরিয়ানি— খাওয়ার পর রায়তা বা টক দই খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকের। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা থেকে পেটের গোলমাল ঠেকানো— সবেতেই টক দইয়ের জুড়ি মেলা ভার। দুধের চেয়ে পুষ্টিগুণ অনেক বেশি টক দইয়ে। হাড় মজবুত করতেও টক দই অসামান্য। কারণ দইয়ে রয়েছে ক্যালশিয়াম, যা হাড় ক্ষয়ে যাওয়া বা অস্টিয়োপোরেসিসের ঝুঁকি কমাতে পারে। তবে, এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলি দইয়ের সঙ্গে মেশালে কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে। জানেন সেগুলি কী?
১) পেঁয়াজ
পেঁয়াজের সঙ্গে টক দই খেলে শরীর গরম হয়ে যেতে পারে। তার ফলে গ্যাস-অম্বলের ঝুঁকি তো থাকেই। সেই সঙ্গে ত্বকেও নানা প্রভাব পড়ে। র্যাশ, অ্যালার্জি, এগ্জ়িমার সমস্যাও হতে পারে।
২) ফল
গরমে ইয়োগার্ট কিংবা টক দই দিয়ে ফ্রিজে রাখা ফলের স্যালাড খেতে ভালই লাগে। কিন্তু এমন কিছু ফল আছে যেগুলিতে অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি। টক দই কিংবা ইয়োগার্টের সঙ্গে সে সব ফল খেলে শরীরে টক্সিনের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
৩) দুধ
দুধ এবং দই দু’টিতেই প্রোটিন, ফ্যাট রয়েছে। ফলে দুধ, দই একসঙ্গে গেলে অম্বল হতে পারে। সেই সঙ্গে বুক জ্বালা, পেটে অস্বস্তির মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। দই, দুধ দু’টিই শরীরের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। তবে আলাদা আলাদা করে খেলে বেশি উপকার মিলবে।
৪) চা
চায়ের মধ্যে অ্যাসিড রয়েছে। টক দই খাওয়ার আগে বা পরে চা খেলে কিন্তু পেটের গোলমাল হতে পারে। শরীরে অম্লের পরিমাণ বেড়ে গেলে হজমের সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
৫) তেলে ভাজা খাবার
আলুর কিংবা পনিরের পরোটার সঙ্গে টক দই খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। পুষ্টিবিদেরা অবশ্য জানাচ্ছেন, তেলে ভাজা কোনও খাবারের সঙ্গে দই না খাওয়াই শ্রেয়। এই ধরনের খাবার খেলে হজমের গোলমাল, পেটখারাপের আশঙ্কা থাকে।