পাকা কলা খাবেন না কেন? ছবি: সংগৃহীত।
শক্ত দেখে বাজার থেকে এক ডজন কলা কিনেছেন। কিন্তু একটা দিন যেতে না যেতেই গরমে সেই কলা মজে গিয়েছে। হলুদ খোসাতে কালচে-খয়েরি ছোপ ধরতে শুরু করেছে। এই ধরনের কলা সাধারণত কেউ খেতে চান না। কিন্তু একটু পেকে গিয়েছে বলে তা ফেলেও দেওয়া যায় না। অনেকেই মজা কলার সঙ্গে আটা বা ময়দা মিশিয়ে প্যানকেক তৈরি করেন। মজা কলার সদগতিও হয়। আবার সুন্দর একটি পদও তৈরি করা যায়। কিন্তু চিকিৎসকেরা বলছেন, এই ধরনের কলা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। কেন জানেন?
কলাতে পটাশিয়াম, ফাইবার, নানা ধরনের ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকা সত্ত্বেও তা শরীরের ক্ষতি করতে পারে। কারণ, কলা একটু বেশি পেকে গেলেই তার মিষ্টত্ব বাড়ে। আর সেই কারণেই সেটি খেতে পছন্দ করেন অনেকে। কিন্তু তাতে কিছু ক্ষতি হয়। কলা বেশি পেকে গেলে, তার স্টার্চ ভাঙতে শুরু করে এবং সেগুলি চিনিতে পরিণত হয়। সাধারণ হলুদ কলার তুলনায় বেশি পেকে কালচে হয়ে যাওয়া কলায় প্রায় ৩ গ্রাম বেশি চিনি থাকে। এই কলা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়াও বেশি পেকে যাওয়া কলায় ফাইবারের পরিমাণও কমতে থাকে। ফলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ততটাও ভাল নয়।
কলা পচনশীল খাবার। অতিরিক্ত পেকে যাওয়া কলার মধ্যে সহজেই ছত্রাক বাসা বাঁধতে পারে। যা খোলা চোখে সহজে দেখা যায় না। ফলে খাবারের সঙ্গে তা পেটের মধ্যে গিয়ে গোল পাকাতে শুরু করে। এই ধরনের মজা কলা খেলে ডায়েরিয়াতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।