লিচুর বীজ খাবেন কেন? ছবি: সংগৃহীত।
ছুটির দিন বারান্দায় বসে বসে লিচু খাচ্ছিল সুমেধা। গরমের নিস্তব্ধ, শ্রান্ত দুপুরে লিচু খেয়ে বারান্দা থেকে সামনের মাঠে একটা একটা করে লিচুর বীজ আনমনে ছুঁড়ে ফেলছিল। সম্বিত ফিরতে হঠাৎ খেয়াল হল, তার মা বলেছিলেন লিচু খেয়ে তার বীজগুলো বারান্দার এক কোণে রেখে দিতে। সেই বীজের নাকি অনেক গুণ! লিচু তো সারা বছর পাওয়া যায় না। তাই এই সময়ে যত লিচু বাড়িতে আসে, সব ক'টার বীজ রেখে দেওয়া হয়। পরে রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে রাখা হয়। কিন্তু, কেন?
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, আয়ুর্বেদ ঔষধি হিসাবে লিচুর বীজ খাওয়ার চল বহু পুরনো। তবে, উপকারের পাশাপাশি বিপদও আছে। লিচুর বীজ বেশি পরিমাণে খেলে কিন্তু ডায়েরিয়া হতে পারে। লিচুর বীজ থেকে অ্যালার্জিজনিত সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
লিচু বীজ খেলে কী হবে?
১) লিচুর বীজে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। যা শরীরে ফ্রি র্যাডিক্যালের সমতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে।
২) বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, লিচুর বীজে প্রদাহনাশক গুণ রয়েছে। যা শরীরে ইনফ্লেমেশন জনিত সমস্যা রুখে দিতে পারে।
৩) আয়ুর্বেদে লিচুর বীজের যথেষ্ট কদর রয়েছে। কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে এই ফলের বীজ গুঁড়ো করে খাওয়ানো হয়। হজম সংক্রান্ত সমস্যা হলেও এই দাওয়াই কাজে লাগে।
৪) আমের বীজের মতোই লিচুর বীজ খেলে রক্তে অতিরিক্ত শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে ইনসুলিনের মাত্রা সঠিক রাখার জন্য যাঁরা নিয়মিত ওষুধ খান, তাঁরা লিচুর বীজ গুঁড়ো করে খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।
৫) যে হেতু লিচুর বীজের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, তাই ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও এই দাওয়াই বেশ কাজের।