কিডনির রোগ সব সময়ে আগে থেকে শনাক্ত করা যায় না। প্রতীকী ছবি।
অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া, ভাজাভুজি খাওয়ার প্রবণতা— শরীরের প্রতি অবহেলার প্রভাব পড়ে কিডনির উপরে। সে কারণে সাবধানে থাকতে বলেন চিকিৎসকরা। সাধারণত কিডনির সমস্যা হচ্ছে কি না, তা বুঝতে শরীরের চাহিদা অনুযায়ী জল খাওয়ার পরিমাণ ঠিক আছে কি না, কোমর বা তলপেটে কোনও ব্যথা হচ্ছে কি না, মূত্রত্যাগের সময়ে জ্বালা হচ্ছে কি না— এগুলির দিকেই মূলত নজর রাখতে বলেন চিকিৎসকরা।
কিডনির রোগ সব সময়ে আগে থেকে শনাক্ত করা যায় না। কোনও সমস্যা হয়ে থাকলেও তা ধরা পড়ে অনেক দেরিতে। কিডনিতে পাথর জমেছে কি না, তা টের পেতে গেলে এটুকু সাবধানতা যথেষ্ট নয়। কিডনিতে পাথর কোথায় রয়েছে, কতগুলি রয়েছে এ সবের উপরেও এই অসুখের লক্ষণ নির্ভর করে। পাথর যদি খুব ছোট আকারের হয়, তা হলে কোনও লক্ষণ না-ও বোঝা যেতে পারে। লক্ষণ জানা থাকলে এই অসুখ নিয়ে আগাম সচেতন হওয়া যায়। কিডনিতে পাথর জমেছে কি না, তা কোন লক্ষণগুলি দেখে বুঝবেন?
১) কিডনিতে পাথর হলে পিঠের দিক এবং পাঁজরের দু’পাশে তীব্র ব্যথা হতে পারে। ব্যথা অল্প হলেও অবহেলা করবেন না। প্রথম থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ব্যথা বেশি দিন ফেলে রাখলে শরীরের অন্দরে জটিলতা বাড়তে পারে।
২) তলপেটেও ব্যথা হতে পারে। বেশ কিছু দিন ধরে এই ব্যথা হতে থাকে, তা হলে সাধারণ সমস্যা বলে এড়িয়ে যাবেন না। কিডনিতে পাথর জমার অন্যতম লক্ষণ হল তলপেটে ব্যথা। ব্যথা কিছুতেই না কমলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ করে নিন।
৩) কিডনিতে পাথর জমলে প্রস্রাবের সময়ে কিংবা প্রস্রাবের পরবর্তী সময়ে জ্বালা অনুভব হয়। প্রস্রাবের সময়ে কোনও রকম কষ্ট অনুভব হলেই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। প্রস্রাবে দুর্গন্ধ, প্রস্রাবের সঙ্গে যদি রক্ত দেখা দেয়, তা হলে তা আরও চিন্তার। এই লক্ষণগুলি এক বার দেখা দিলে তা এড়িয়ে যাবেন না।
৪) কিছু খেলেই বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, শারীরিক ক্লান্তি, খিদে না পাওয়া— কিডনিতে পাথর জমার লক্ষণ হতে পারে এগুলি। অনেকেই এই উপসর্গগুলিকে গ্যাস-অম্বলের ভেবে ভুল করে থাকেন। তাই এমন কিছু লক্ষণ দেখা দিলে এড়িয়ে না গিয়ে বরং চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন।
৫) ঘন ঘন জ্বর হওয়া কিন্তু কিডনিতে পাথর জমার লক্ষণ। জ্বর এসছে মানেই যে তা ঠান্ডা লাগার কারণে হয়েছে, এমন ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। কিডনিতে পাথর হলেও জ্বর হয়।