শীতকালে এমনিতেই ঘন ঘন প্রস্রাব পায়। ছবি: শাটারস্টক।
প্রস্টেট গ্রন্থি আসলে একটি জননগ্রন্থি, যা শুধু পুরুষদের শরীরেই থাকে। ইউরিনারি ব্লাডার বা মূত্রথলির ঠিক নীচে ইউরেথ্রা বা মূত্রনালিকে ঘিরেই এই গ্রন্থির অবস্থান। এটি একটি সহায়ক গ্রন্থি। এরা ঘন অর্ধস্বচ্ছ প্রস্টেটিক ফ্লুইড তৈরি করে, যা স্পার্ম বা শুক্রাণু বহন করে। বীর্য বা সিমেনের ৩০ শতাংশই এই প্রস্টেটিক ফ্লুইড।
বয়স পঞ্চাশ পেরোনোর পর পুরুষদের শরীরে হরমোনের ভারসাম্যের বিঘ্নিত হয়, ফলস্বরূপ অনেকের প্রস্টেট গ্রন্থি আকারে বড় হয়ে যায়। এর নাম বিনাইন প্রস্টেটিক হাইপারপ্লেশিয়া বা বিপিএইচ। কারও ক্ষেত্রে এতই বড় হয়ে যায় যে, প্রস্রাবথলি থেকে প্রস্রাব নির্গমনের পথের উপরে চাপ পড়ে নানা উপসর্গ দেখা দেয়। প্রস্রাব চেপে রাখার ক্ষমতা কমে যায়। শীতকালে এমনিতেই ঘন ঘন প্রস্রাব পায়। ঠান্ডায় শ্রোণীদেশের পেশিগুলি বেশি সঙ্কুচিত হয়, তাই বার বার প্রস্রাব আসা স্বাভাবিক। তার উপর শীতকালে ঘামও কম হয়, তাই শরীরে বর্জ্যপদার্থগুলি প্রস্রাবের মাধ্যমেই শরীর থেকে বেরিয়ে আসে। তাই শীতকালে বিপিএইচ-এর উপসর্গগুলি দেখা দিলেও বুঝতে পারা যায় না।
কোন কোন উপসর্গ দেখা দিলেই সতর্ক হবেন?
১) প্রস্রাবের গতি কমে গিয়েছে
২) প্রস্রাব করার পরেও মূত্রথলি পুরো খালি না হয়ে প্রস্রাব জমে থাকছে
৩) রাতের বেলা প্রস্রাব করতে বার বার উঠতে হচ্ছে
৪) প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত হচ্ছে
এই রোগে আক্রান্ত হলে মূত্রথলিতে পাথর জমার আশঙ্কা বেড়ে যায়। কিডনির উপরে চাপ পড়ে কিডনি ফুলে যেতে পারে। এমনকি, কিডনি ফেলিয়োরও হতে পারে। মূত্রথলিতে সংক্রমণ হওয়ারও আশঙ্কা বাড়ে। তাই উপসর্গগুলি দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।