সরাসরি গুড় খাওয়ার চেয়ে যদি অন্য ভাবে খাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে হয়তো বাড়তি উপকার পাওয়া যেতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
পায়েস থেকে পাটিসাপটা— শীতকালে গুড়ের জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। চিনির স্বাস্থ্যকর বিকল্প হল গুড়। পিঠে, পুলির স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি গুড় শরীরের প্রতি নজরও কম দেয় না। স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে গুড়ের উপর চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়। আয়রন, ভিটামিন সি, প্রোটিন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামে সমৃদ্ধ গুড়। দীর্ঘ দিন সুস্থ থাকতে এই উপাদানগুলি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে যাওয়া দরকার। গুড় সেই প্রয়োজন পূরণ করে। নিজেকে ভাল রাখতে অনেকেই তাই গুড় খান। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, সরাসরি গুড় খাওয়ার চেয়ে যদি অন্য ভাবে খাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে হয়তো বাড়তি উপকার পাওয়া যেতে পারে। কী কী ভাবে গুড় খেতে পারেন?
দুধের সঙ্গে
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস দুধ খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। শুধু খেতে পারেন না বলে অনেকেই হাতে অল্প করে চিনি মিশিয়ে নেন। চিনি খেলে ওজন বাড়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। বদলে গুড় মিশিয়ে নিতে পারেন। দুধের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খেলে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ঋতুস্রাবের যন্ত্রণা কমাতেও এই পানীয় দারুণ কাজে আসবে। এ ছাড়া হজমক্ষমতা উন্নত করতেও এই পানীয় খেতে পারেন।
হালুয়া
শীতের সকালে হালুয়া রাঁধতে গিয়ে দেখলেন চিনি শেষ। এ দিকে হালুয়া কড়াইতে বসিয়ে দিয়েছেন। চিন্তিত না হয়ে চিনির বদলে খানিকটা গুড় দিয়ে দিন। হালুয়ার স্বাদেও আসবে বিরাট পরিবর্তন। তা ছাড়া, গুড়ে আয়রনের পরিমাণ অনেক বেশি। হালুয়া খেয়ে যদি শরীরে আয়রনের ঘাটতি মেটানো যায়, তার চেয়ে ভাল কিছু হয় না।
গুড়ের জল
শরীরের ক্লান্তি দূর করতে গুড়ের জলের সত্যিই তুলনা হয় না। এই পানীয় শরীর ঠান্ডা রাখে। গরমে সুস্থ থাকতে অনেকেই ভরসা রাখতেন এই পানীয়ে। পেটের যত্ন নেয় গুড়ের জল। তবে গুড়ের জল সব সময়ে খালি পেটে খেলেই বেশি উপকার পাওয়া যায়। আরও ভাল হয় যদি ঈষদুষ্ণ জলে গুড় মেশানো যায়। শরীরে জমে থাকা টক্সিন বাইরে বার করে দিতে পারে গুড়ের জল।
লাড্ডু
উৎসব-অনুষ্ঠানে অনেকেই বাড়িতে লাড্ডু তৈরি করেন। চিনির বদলে যদি এই লাড্ডুর প্রধান উপকরণ হয় গুড়, তা হলে স্বাদ এবং শরীর দুইয়ের যত্নই একসঙ্গে নেওয়া যাবে। তিলের লাড্ডু বানালে তো গুড় অবশ্যই ব্যবহার করবেন। তিল নিজেও অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও তিল এবং গুড় উপকারী।