রোগা হওয়ার পর্বে শরীরচর্চায় জোর দেওয়া সবচেয়ে জরুরি। ছবি: সংগৃহীত
ওজন কমানোর চটজলদি কোনও উপায় নেই। রোগা হওয়ার বেশ কয়েকটি ধাপ রয়েছে। সেগুলি একে একে পেরোতে হয়। ওজন কমানোর প্রতিটি নিয়ম খুব নিষ্ঠার সঙ্গে মেনে চলতে হয়। শরীরচর্চা থেকে ডায়েট— খুব সতর্ক হয়ে না করলে রোগা হওয়া সহজ নয়। ডায়েট করলেও শরীরচর্চার সময়ে আলসেমি ঘিরে ধরে অনেককেই। সকালে উঠে জিমে যাওয়ার কথা ভাবলেই গায়ে জ্বর আসে। আবার সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফেরার পর ব্যায়াম করতে ক্লান্ত লাগে। পুষ্টিবিদরা জানান, রোগা হওয়ার পর্বে শরীরচর্চায় জোর দেওয়া সবচেয়ে জরুরি। তাতেই ওজন কমানোর পথ অনেকটা মসৃণ হয়। তবে শরীরচর্চা করতে ইচ্ছা করে না মানেই রোগা হওয়ার ইচ্ছায় জল ঢেলে দেওয়া নয়। মেদ ঝরানোর ক্ষেত্রে শরীরচর্চার কিছু বিকল্প কাজ রয়েছে। সেগুলি যদি করতে পারেন, তা হলে রোগা হওয়া কঠিন নয়।
সময় মতো খাবার খান
মোটা হয়ে যাওয়ার অন্যতম একটি কারণ হল সময়ে খাবার না খাওয়া। একটি নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়া প্রয়োজন। সেই সময়টি পেরিয়ে গিয়ে খাবার খেলে সমস্যা হয়। শরীর খাবার থেকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ক্যালোরি, কার্বোহাইড্রেট শোষণ করে নেয়। দীর্ঘ দিন এমন চলতে থাকলে ওজন বেড়ে যেতে থাকে। তাই রোগা হতে চাইলে প্রতি দিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খান। শরীরচর্চার মতো না হলেও কম কার্যকর নয় এই অভ্যাস।
সিঁড়ি ব্যবহার করুন
অফিস, মেট্রো, শপিং মল— প্রায় সব জায়গাতেই সিঁড়ি ও লিফ্ট, দুই-ই থাকে। রোগা হওয়ার কথা ভেবে থাকলে কয়েক দিন এ সব জায়গায় লিফ্ট কিংবা এসক্যালেটরের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করতে পারেন। সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে অনেকটাই শরীরচর্চার কাজ হবে। রোগা হওয়ার রুটিনে শরীরচর্চার ঘাটতি পূরণ করতে পারেন এ ভাবেই।
কাজের ফাঁকে হেঁটে আসুন
কাজের চাপ থাকবে। দ্রুত কাজ শেষ করার তাড়াও থাকবে। কিন্তু তার মাঝেই যত্ন নিতে হবে শরীরের। এক ভাবে দীর্ঘ ক্ষণ বসে কাজ করবেন না। একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর উঠে হাঁটাচলা করুন। বাড়িতে কাজ করার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। একটু স্ট্রেচিং করলেন। ১০ মিনিট হেঁটে এলেন। তাতেই হবে।
হাঁটতে হাঁটতে কথা বলুন
প্রিয়জনের সঙ্গে বাইরে বেরিয়েছেন। সঙ্গীর সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে অনেকেই বেছে নেন কোনও ক্যাফে কিংবা রেস্তরাঁ। মনে রোগা হওয়ার ইচ্ছা জন্ম নিলে কোথাও না বসে বরং হাঁটতে হাঁটতে কথা বলুন। এতে শরীর আর প্রেম— দু’টোর একসঙ্গে যত্ন নেওয়া গেল।