খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম গ্যাস-অম্বলের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। ছবি: সংগৃহীত
নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া না করা, সময়ের অভাবে বাইরের খাবারের উপর ভরসা রাখা, ঠিক মতো জল না খাওয়া— এমন কিছু কারণের জন্য গ্যাস-অম্বল যেন নিত্যদিনের সমস্যা হয়ে উঠেছে। শুধু বাইরে থেকে নয়, ভিতর থেকেও যত্ন চায় শরীর। তার জন্য বদল আনা প্রয়োজন খাওয়াদাওয়ায়। ব্যস্ততার কারণে বাড়িতে রান্না করা হয়ে ওঠে না। অগত্যা খিদে মেটাতে অনলাইনে কেনা খাবারই ভরসা। দিনের পর দিন এই ধরনের খাবার খাওয়ার ফলে বদহজম, গ্যাস-অম্বল পিছু ছাড়ছে না। গ্যাসের সমস্যা না কমালে এখান থেকেই দেখা দিতে পারে হৃদ্রোগ। খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম গ্যাস-অম্বলের সমস্যা বাড়িয়ে দেয় ঠিকই। সেই সঙ্গে শরীরচর্চা না করলেও গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়। রোজের এই সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে কোন যোগাসনগুলি নিয়ম করে মন দিয়ে করবেন?
বজ্রাসন
এই আসনটি করতে প্রথমে সোজা হয়ে বসুন। সামনের দিকে পা ছড়িয়ে দিন। এ বার একটি করে পায়ে হাঁটু মুড়ে তার উপর বসুন। গোড়ালি জোড়া করে রাখুন। শিরদাঁড়া সোজা করে বসুন। হাত দুটো উরুর উপর টানটান করে রাখুন। কিছু ক্ষণ এই ভঙ্গিতে বসুন। এই আসনটি শরীরে অতিরিক্ত মেদের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। পেটের তলদেশে রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে। সেই সঙ্গে গ্যাসের সমস্যা থেকে দূরে রাখে।
পশ্চিমোত্তানাসন
এই আসনটি করতে প্রথমে চিত হয়ে শুয়ে দু’হাত মাথার দু’পাশে উপরের দিকে রাখুন। পা দু’টি একসঙ্গে জোড়া রাখুন। এ বার আস্তে আস্তে উঠে বসে সামনে ঝুঁকে দু’হাত দিয়ে দুই পায়ের বুড়ো আঙুল স্পর্শ করুন। কপাল দু’পায়ে ঠেকান। হাঁটু ভাঁজ না করে পেট ও বুক উরুতে ঠেকান। কিছু ক্ষণ এই ভঙ্গিতে থাকার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন।
বালাসন
সবচেয়ে আরামদায়ক একটি যোগাসন। এই আসনটি করতে প্রথমে বজ্রাসনে বসুন। হাত দুটি প্রণাম করার ভঙ্গিতে একসঙ্গে জড়ো করে সামনের দিকে ঝুঁকে বসুন। এ বার ধীরে ধীরে শ্বাস নিন, আর ছাড়ুন। কিছু ক্ষণ এই ভঙ্গিতে বসার পর ধীরে ধীরে উঠে বসুন। প্রতি দিন এটা করলে গ্যাসের সমস্যা কমবে।