Drink

Drink & Shrink: পেটের মেদ কমাতে চান? কোন ধরনের পানীয় সাহায্য করবে

ভুঁড়ি হচ্ছে দেখলে অনেক সময়েই খাওয়া কমিয়ে ফেলার কথা ভাবা হয়। কিন্তু পানীয় নিয়েও ভাবনা-চিন্তা জরুরি।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১২:১৮
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

বাকি দেহে হয়তো ততটাও মেদ নেই। কিন্তু পেট নিয়েই সমস্যা। দিন দিন বাড়ছে মেদ। কোমরে জিন্‌স আঁটছে না। উঠতে-বসতেও কষ্ট হচ্ছে। বোঝাই যাচ্ছে ভুঁড়ি কমানো জরুরি।

পেটের মেদ সামগ্রিক স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা বাড়ায়। হৃদ্‌রোগ থেকে ডায়াবিটিস, সবের আশঙ্কা বাড়তে থাকে। বিপাকক্রিয়া দুর্বল করে দেয়। ক্যানসারের আশঙ্কাও বাড়িয়ে তোলে।

Advertisement

কিন্তু কমাবেন কী ভাবে? দিনের পর দিন না খেয়ে থাকলেই কি মিলবে সমাধান? তেমন তো নয়। বরং ইচ্ছামতো খাওয়া কমানো উল্টে বিপদ ডেকে আনতে পারে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

তবে উপায়?

পেটের মেদ কমানোর সবচেয়ে সহজ এবং সাধারণ উপায় হল কয়েকটি পানীয়। সারা দিনে নানা ধরনের পানীয় প্রবেশ করে শরীরে। সে সব যদি বানানো হয় কিছুটা স্বাস্থ্যের কথা ভেবে, তা হলেই সমাধান মিলতে পারে।

কোন পানীয় কী ভাবে বানাবেন?

১) জল তো রোজই অনেকটা পরিমাণ খাওয়া জরুরি। সেই জলেই ফেলে দিন কয়েক টুকরো শসা আর কয়েক ফোঁটা লেবুর রস। লেবুর রস পছন্দ না হলে পাতিলেবু কিংবা মুসাম্বি গোল গোল করে কেটে, সেই টুকরোগুলিও জলের মধ্যে দিয়ে রাখুন। যখন জল তেষ্টা পাবে, সেই জলই খাবেন বারবার করে।

২) ফলের রস খেতে ইচ্ছা করে? বাজার থেকে কেনা ফলের রস খাবেন না। বরং বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন কিছু স্মুদি। ২০২০ সালে ‘ইওরোপিয়ান জার্নাল অব প্রিভেন্টিভ কার্ডিয়োলজি’-তে একটি গবেষণাপত্রে প্রকাশ করা হয়েছে ফলের রস খাওয়া নিয়ে কিছু তথ্য। সেখানে বলা হয় ফলের রসে যতটা পরিমাণ চিনি থাকে, তার বেশির ভাগটিই গিয়ে জমা হয় পেটের অঞ্চলে। তাই ফলের রসে যতই পুষ্টিগুণ থাকুক না কেন, বাড়তি চিনি এড়িয়ে চলতেই হবে। যে সব ফলে ফাইবার বেশি, তেমন কিছু ব্যবহার করা যায় ঘরে স্মুদি বানানোর সময়ে। যেমন কলা, কমলালেবু, স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি স্মুদিতে নিয়মিত দেওয়া যেতে পারে।

৩) গ্রিন টি-তে আছে এমন একটি পদার্থ, যা মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। তাই দিনে কয়েক বার চিনি ছাড়া গ্রিন টি খাওয়া যেতে পারে।

৪) দইয়ের ঘোল, ছাসের মতো কিছু পানীয়ও উপকার করতে পারে এ ক্ষেত্রে। ২০১৩ সালে ‘ব্রিটিশ জার্নাল অব নিউট্রিশন’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র অনুযায়ী, এই ধরনের পানীয়তে ‘ল্যাকটোব্যাসিলাস গ্যাসেরি ব্যাক্টেরিয়া’ থাকে। সেই ব্যাক্টেরিয়া বিপাক হার বাড়ায়। ফলে মেদ জমার আশঙ্কা কমায়।

আরও পড়ুন
Advertisement