কোলেস্টেরল বাড়লে একই সঙ্গে ঝুঁকি বাড়ে হৃদ্রোগের। ছবি: সংগৃহীত
গোটা দেশে কোলেস্টেরলে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। ভারতে প্রতি বছর উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যায় আক্রান্ত হন ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ। ২০১৭ সালের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে এক জন কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন। বয়স বাড়লে সাধারণত কোলেস্টেরলের মতো সমস্যা দেখা দেয়। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া এবং আরও বিভিন্ন কারণে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে। কোলেস্টেরল বাড়লে একই সঙ্গে ঝুঁকি বাড়ে হৃদ্রোগের। ট্রু কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, এইচডিএল, এলডিএল— এই চারটি মিলেই মূলত তৈরি হয় কোলেস্টেরল পরিবার। অনেকের ধারণা, চর্বি জাতীয় খাবার বেশি খেলেই কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। সব ক্ষেত্রে এ ধারণা ঠিক নয়। কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়বে কি না, তা নির্ভর করে প্রত্যেকের শরীরের বিপাকহারের উপর। কারও যদি ডায়াবিটিস থাকে, তা হলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ হল কোলেস্টেরল। হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন।
কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ নয়। রোজের জীবনে অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়। নয়তো কোলেস্টেরলের মাত্রা চড়চড় করে বাড়তে থাকবে। খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হয় অনেক খাবার। তেল-ঝাল, মশলাদার খাবার থেকে তো একেবারেই দূরে থাকা জরুরি। নয়তো সমস্যা হতে পারে।
হালের একটি গবেষণা বলছে, রোজের খাদ্যাতালিকায় অ্যাভোকাডো রাখলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরল। এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি। উচ্চ ফাইবারে সমৃদ্ধ অ্যাভোকাডো কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। অ্যাভোকাডোতে রয়েছে ক্যারোটিনয়েডের মতো একাধিক খনিজ উপাদান। এ ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন সি এবং ই। গবেষণায় উঠে এসেছে, প্রতি দিন একটি করে অ্যাভোকাডো খাওয়ার অভ্যাসে কমে যায় কোলেস্টেরলের সমস্যা। খারাপ কোলেস্টেরল এইচডিএল-এর মাত্রা কমাতেও অ্যাভোকাডো পারদর্শী।
কোলেস্টেরল কমানোর পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং হার্টের যত্ন নিতেও খেতে পারেন অ্যাভোকাডো। এই ফলটি মূলত বিদেশের মাটিতেই ফলে। তবে এখন এ দেশেও পাওয়া যাচ্ছে। সকালে জলখাবার খাওয়ার পর অ্যাভোকাডো খেতে পারেন। গ্রিন স্যালাড কিংবা চিকেন স্যালাডের সঙ্গেও খেতে পারেন এটি। উপকার পাবেন।