হিমায়িত খাবার খেতে ভালবাসেন? ছবি: সংগৃহীত।
কাজে বেরোনোর আগে বাজার যাওয়ার সময় হয় না। বাড়ি ফিরে রান্না করতেও ইচ্ছে করে না প্রায় দিন। এমন সময়েই ভরসা ফ্রোজ়েন ফুড বা হিমায়িত খাবার। মুখরোচক খাবার, সব্জি, ফল থেকে শুরু করে মাংস— সবই হিমায়িত করে বিক্রি হয় দোকানে। অনলাইনে দেদার বিকোয় সে সব জিনিস। দীর্ঘ দিন ধরে সংরক্ষণ করে রাখার জন্য সে সব খাবারে নানা রকম রাসায়নিক দেওয়া হয়।
বছর দুয়েক হল আমেরিকা থেকে ভারত, সর্বত্রই হিমায়িত খাবার খাওয়ার হুজুগ বেড়েছে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, শ্রম এবং সময় বাঁচাতে এই ধরনের খাবারের প্রতি নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, এই ধরনের খাবার খাওয়ার অভ্যাস বহু রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
হিমায়িত খাবার বা ফ্রোজ়েন ফুড খেলে কোন কোন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে?
১) হিমায়িত খাবার টাটকা রাখার জন্য তার মধ্যে ব্যবহার করা হয় স্টার্চ। খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে তুললেও এই স্টার্চ কিন্তু পরিপাক করা কঠিন। উদ্বৃত্ত এই স্টার্চ গ্লুকোজ়ে পরিণত হয়। গ্লুকোজ় রূপান্তরিত হয় শর্করায়। রক্তে শর্করার মাত্রা অতিরিক্ত হয়ে গেলে বিপদ বাড়বে।
২) হিমায়িত খাবারে ট্রান্স ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। নিয়মিত এই ধরনের খাবার খেলে হার্টের সমস্যা বাড়তে পারে। এই ট্রান্স ফ্যাট রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল বা স্নেহপদার্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। তা জমে ধমনীর দেওয়াল পুরু হয়ে যায়। ফলে রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়। রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার পিছনেও এই ধরনের খাবারের ভূমিকা রয়েছে।
৩) বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, হিমায়িত খাবার বেশি খেলে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশেষ করে যাঁরা প্রক্রিয়াজাত এবং হিমায়িত আমিষ খাবার বেশি খান, তাঁদের মধ্যে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় প্রায় ৬৫ শতাংশ।