‘এলইডি’ চিরুনি কি সকলে ব্যবহার করতে পারেন? ছবি: সংগৃহীত।
‘এলইডি’ চিরুনির নাম শুনেছেন? না!
‘এলইডি’ টেলিভিশন, মনিটর, এমনকি ‘এলইডি’ আলো হলেও চলত! কিন্তু চিরুনিতে হঠাৎ ‘এলইডি’ আসবে কোথা থেকে? তেমন চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ালে আদৌ কোনও লাভ হয়?
চুলের নানাবিধ সমস্যার সমাধান করতে পারে বিশেষ এই চিরুনিটি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগাতে এবং ফলিকলগুলিকে উদ্দীপিত করতে এই ‘এলইডি’ বা ‘লাইট এমিটিং ডায়োড’ আলো বেশ পারদর্শী। ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, চুল ঝরে পড়া বা মাথার ত্বকে সংক্রমণজনিত সমস্যার নানা রকম চিকিৎসা রয়েছে। তার মধ্যে এই ‘এলইডি’ আলোযুক্ত চিরুনিও একটি। তবে শুধু চিরুনি নয়, ফাঁকা মাথায় চুল গজাতে তার সঙ্গে আরও কিছু পদ্ধতি মেনে চলতে হয়।
কিন্তু, চুলে এই ‘এলইডি’ চিরুনিটি কী ভাবে কাজ করে?
বিশেষ ধরনের এই চিরুনিটি থেকে এক প্রকার আলো বিচ্ছুরিত হয়। সেই আলো ফলিকলগুলিকে উদ্দীপিত করে। ফলে চুল পড়ে যাওয়ার পরেও নতুন চুল গজানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়। ‘এলইডি’ চিরুনিটিকে ‘এলএলটি’ বা ‘লো লেভেল লেজ়ার টেকনোলজি’ও বলা হয়। আমেরিকার খাদ্য এবং ওষুধ নিয়ামক সংস্থার তরফে অন্তত তেমনটাই জানা গিয়েছে। মহিলা এবং পুরুষদের মাথায় যে ধরনের টাক পড়তে দেখা যায়, চিকিৎসা পরিভাষায় তাকে ‘অ্যান্ড্রোজেনিক অ্যালোপেশিয়া’ বা ‘জিয়োমেট্রিক হেয়ার থিনিং’ বলা হয়। এই ধরনের সমস্যায় দারুণ কাজ করে ‘এলইডি’ চিরুনি। ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, ‘এলইডি’ চিরুনি এক ধরনের তরঙ্গ তৈরি হয়। এই তরঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু বা চুলের বয়সজনিত ক্ষয়ক্ষতি সারিয়ে তুলতে পারে। মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন ভাল রাখতে এবং চুলের ফলিকলে অক্সিজেন পৌঁছতেও সাহায্য করে বিশেষ এই পদ্ধতিটি।
কখন কী ভাবে ব্যবহার করতে হয় এই চিরুনি?
এই চিরুনিটি দিয়ে প্রতি দিন এক বার করে চুল আঁচড়ানো যেতেই পারে। আগে এই ধরনের পদ্ধতি শুধুমাত্র চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থেকেই ব্যবহার করতে হত। কিন্তু উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে ‘এলইডি’ চিরুনি সাধারণের ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা হয়েছে। সবচেয়ে মজার বিষয় হল, এই চিরুনিটি যখন ইচ্ছে ব্যবহার করা যায়। সাধারণত বাড়িতে না থাকলে চুলে তেল বা কোনও ধরনের প্যাক মাখা যায় না। কিন্তু এই চিরুনিটি যত্রতত্র ব্যবহার করা যায়।
শ্যাম্পু করার পর চুল অল্প ভিজে থাকা অবস্থাতেই ‘এলইডি’ চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নেওয়া যেতে পারে। ভাল ফল পেতে হলে নিয়ম করে মিনিট দশেক এই চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ানোর অভ্যাস করতে হবে। মাস তিনেক টানা এই চিরুনি ব্যবহার করলে ফল বুঝতে পারা যাবে। তবে এই ধরনের চিকিৎসা সকলের পক্ষে উপযুক্ত নয়। যাঁদের ত্বক স্পর্শকাতর, তাঁরা এই চিরুনি ব্যবহার করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।