ছবি: সংগৃহীত।
বন্ধুর পাল্লায় পড়ে বর্ষাকালেই ট্যাটু করিয়ে ফেলেছেন। এ দিকে ভ্যাপসা আবহাওয়ায় সারা ক্ষণ দরদরিয়ে ঘাম হচ্ছে। তাতে ট্যাটুর ক্ষত শুকোতেও দেরি হচ্ছে। আসলে শরীরের এমন একটা জায়গায় ট্যাটু করিয়েছেন যে, কিছু না করলেও সেখানে ঘাম হবেই। ঘুমোতে গেলে চুলের ডগা কিংবা পোশাকের খোঁচা লাগবে। ট্যাটুর ক্ষত শুকোচ্ছে না বলে তো আর অফিসে ছুটির আবেদন করা যায় না! তা হলে কী করবেন?
১) পরিষ্কার রাখুন
ট্যাটু করার পর সাধারণত ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেজ বা স্টেরিলাইজ়ড র্যাপ বেঁধে দেওয়া হয়। ২ থেকে ৪ ঘণ্টা সেই বাঁধন রেখে দিতে বলেন শিল্পীরা। তবে তার চেয়ে বেশি সময় বাঁধন রাখলে শুকোতে সমস্যা হতে পারে। ক্ষত তা়ড়াতাড়ি শুকোনোর জন্য ঈষদুষ্ণ জলে জীবাণুনাশক মিশিয়ে দিনে অন্তত ২-৩ বার ক্ষতস্থান পরিষ্কার করে নিন। তার পর শুকনো করে মুছে ফেলুন।
২) ত্বক আর্দ্র রাখতে হবে
ক্ষতস্থান পরিষ্কার করার পর প্রতি বার ভাল মানের ময়েশ্চারাইজ়ার মাখা প্রয়োজন। যদিও এই সময়ে এমনিতে বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকে। তাই ক্ষত শুকোতে সমস্যা হতে পারে। শুধু খেয়াল রাখতে হবে, ক্ষতের চারপাশের চামড়া যেন শুষ্ক না হয়ে যায়।
৩) রোদ, জল যেন না লাগে
ট্যাটু করানোর পর অন্তত পক্ষে সপ্তাহ দুয়েক ওই জায়গায় সরাসরি রোদ, জল লাগানো যাবে না। এমনকি, স্নান করতে বা সাঁতার কাটতেও বারণ করা হয়। অনেকেই শরীরচর্চার পর পেশির আরামের জন্য স্পা কিংবা গরম জলের বাষ্প বা ‘সনা’ নিয়ে থাকেন। ট্যাটুর ক্ষত তাড়াতাড়ি শুকোতে গেলে এই সব থেকে বেশ কিছু দিন বিরত থাকতে হবে।
৪) নখ যেন না লাগে
ক্ষত শুকোনোর সময়ে ত্বকে টান ধরে, চুলকায়। অসাবধানে ট্যাটু করানো জায়গায় যদি নখ লেগে যায়, সে ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। ক্ষত শুকোনোর বদলে তা আরও বিগড়ে যেতে পারে। তাই ঘুমোনোর সময়ে খুব সাবধানে থাকতে হয়।
৫) হালকা পোশাক পরতে হবে
ট্যাটু না শুকোনো পর্যন্ত খুব আঁটসাঁট পোশাক না পরাই ভাল। পোশাক খোলা-পরা যেমন সমস্যার, তেমন ক্ষত শুকোনোর ক্ষেত্রেও তা সমস্যাজনক। তাই যতটা সম্ভব হালকা পোশাক পরার চেষ্টা করুন। তাতে হাওয়া চলাচল করতেও সুবিধা হবে।