গোপনাঙ্গের ত্বকও শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে? ছবি: সংগৃহীত।
বেশির ভাগ মহিলাই সচেতনতার অভাবে যৌনস্বাস্থ্যের প্রতি অবহেলা করেন। তা ছাড়া যৌন স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতেও অস্বস্তি বোধ করেন অনেকে। যথাযথ পরিচ্ছন্নতা বজায় না রাখলে বার বার মূত্রনালিতে সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অনেকেরই ধারণা, গরম কালে ঘাম জমলে এই ধরনের সমস্যা হতে হয়। পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে অনেকেই গোপনাঙ্গের জন্য তৈরি বিশেষ তরল সাবান ব্যবহার করে থাকেন। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, যৌনাঙ্গ নিজেই নিজেকে পরিষ্কার রাখতে পারে। কিন্তু অজান্তেই এমন কিছু ভুল আমরা করে ফেলি, যার ফলে যৌনাঙ্গে থাকা ভাল ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা হ্রাস পেতে থাকে। তখনই যৌনাঙ্গের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তায় পড়তে হয়।
কোন কোন ভুলে যৌনাঙ্গের স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে?
১) জল কম খাওয়া
পর্যাপ্ত পরিমাণে জল না খেলে শারীরবৃত্তীয় অনেক কাজই বিঘ্নিত হয়। যৌনাঙ্গের পিএইচ-এর ভারসাম্য বজায় রাখতেও ততধিক উপকারী জল। ভাল ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে জল।
২) সঠিক ভাবে পরিষ্কার করা
যৌনাঙ্গ নিজেই নিজেকে পরিষ্কার রাখতে পারে। তবে, যৌনাঙ্গ সংলগ্ন দেহের অন্যান্য অংশ সঠিক ভাবে পরিষ্কার না করলে কিন্তু ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে।
৩) তরল সাবানের ব্যবহার
ইদানীং অনেকেই গোপনাঙ্গ পরিষ্কার রাখতে সুগন্ধি দেওয়া তরল সাবান ব্যবহার করেন। যেগুলির বেশির ভাগই রাসায়নিক উপাদান দিয়ে তৈরি। ত্বকের পিএইচ-এর ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য এই প্রসাধনীগুলি একেবারেই উপযুক্ত নয় বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা।
৪) সুগন্ধি ব্যবহার করা
ভ্যাপসা গরম হোক কিংবা শীত— গোপনাঙ্গ যেন ফুলের মতো থাকে। তাই অ্যালকোহল দেওয়া সুগন্ধি, পাউডার, ক্রিম ব্যবহার করেন অনেকেই। এই সমস্ত প্রসাধনী থেকেও সংক্রমণ হতে পারে।
৫) যৌনাঙ্গের রোম তোলা
পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে গোপনাঙ্গের রোম তোলার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। এই অভ্যাস করা যেতেই পারে। তবে কোন পদ্ধতিতে রোম তুলছেন, সেই বিষয়টি কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। ওয়্যাক্স বা রাসায়নিক দেওয়া ক্রিম ব্যবহার না করে, কাঁচির সাহায্যে রোম ছেঁটে রাখাই ভাল।