পেটের মেদ ঝরবে আসনে। ছবি: সংগৃহীত।
নতুন বছরে রেজ়লিউশনের তালিকায় মেদ ঝরানোর স্থান সবার প্রথমে। মাস খানেক সেই হুজুগে শারীরিক কসরত করেন অনেকেই। কিন্তু ধারাবাহিক ভাবে শরীরচর্চা করা মুখের কথা নয়। তাই মাঝপথে হাল ছেড়ে দেন অনেকে। তার উপর প্রতি মাসেই কোনও না কোনও উৎসব লেগে রয়েছে। তাই চাইলেও খাওয়াদাওয়ায় লাগাম টানতে পারছেন না। এ দিকে, ‘মধ্যপ্রদেশ’ তো আড়ে-বহরে বেড়েই চলেছে। গত বছরের মতো এ বছরেও কি রেজ়লিউশন নিয়ে শেষে হাসির পাত্র হতে হবে? জিমের প্রশিক্ষকেরা বলছেন, বছরের প্রথম দিন থেকে কয়েকটি আসন নিয়মিত অভ্যাস করতে পারলে পেটের মেদ ঝরবে সহজেই।
১) প্লাঙ্ক
ম্যাটের উপর উপুড় হয়ে শুয়ে হাত দু’টিকে সামনের দিকে ভাঁজ করে কাঁধ বরাবর রাখুন। এ বার হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে শরীরকে উপরের দিকে ঠেলে তুলুন। শরীর উপরে তোলার সময়ে পায়ের শরীরের সমস্ত ভর থাকবে হাতের তালু ও পায়ের বুড়ো আঙুলের উপর। বাকি শরীরটা হাওয়ায় ভাসবে। হাতের কনুই যেন ভাঁজ না হয়, সে দিকে নজর রাখুন। পেটও টেনে রাখবেন ভিতরের দিকে। প্রথম প্রথম দশ সেকেন্ড এমন করে থাকার অভ্যাস করুন। তার পর আয়ত্তে এলে ধীরে ধীরে সময় বাড়াবেন। দু’ পায়ের মাঝে ফাঁকও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমিয়ে আনবেন।
২) স্কোয়াট
পেট এবং দেহের নিম্নাংশ সুঠাম করতে এই ব্যায়ামের কোনও বিকল্প নেই। প্রথমে টান টান হয়ে দাঁড়ান। দুই পায়ের মাঝের ব্যবধান যেন কাঁধের সমান হয়। এ বার হাঁটু ভাঁজ করে, ঊরুর উপর অর্ধেকটা বসুন, আবার উঠুন।
৩) বাইসাইকেল ক্রাঞ্চ
অ্যাবস্ এবং ঊরুর পেশি মজবুত করতে বাইসাইকেল ক্রাঞ্চ অব্যর্থ। এই ব্যায়াম করার জন্য প্রথমে মাটিতে শুয়ে পড়ুন। এ বার দুই হাত মাথার উপর রাখুন। পিঠ থেকে দেহের উপরের অংশ মাটি থেকে খানিকটা তুলে রাখুন। ঊরু থেকে পা দু’টিকেও মাটি থেকে বেশ কিছুটা তুলে সাইকেল চালানোর ভঙ্গিতে নাড়াতে থাকুন।
৪) নৌকাসন
প্রথমে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ুন। এর পর শ্বাস নিতে নিতে নিতম্ব ও কোমরে ভর দিয়ে দেহের উপরের অংশ ও পা একই সঙ্গে উপরের দিকে তুলুন। বাহু ও পায়ের পাতা একই দিকে থাকবে। এ রকম নৌকা বা ইংরেজি এল আকৃতির মতো অবস্থায় ২০ সেকেন্ড থাকুন। ধীরে ধীরে দম ছাড়তে ছাড়তে আগের অবস্থায় ফিরে আসুন। প্রতি দিন ২-৩ বার এই যোগাসনটি করতে পারেন। শরীরের পেশি শক্তিশালী হবে। ওজনও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
৫) হাঁটাহাটি
হাতে খুব বেশি সময় না থাকলে কিছু ক্ষণ হাঁটাহাটি করতে পারেন। রোজ অফিস থেকে বাড়ি ফেরার সময়ে একটা স্টপ আগে বাস কিংবা অটো থেকে নেমে পড়ুন। সেখান থেকেই হেঁটে বাড়ি ফিরুন। কিংবা লিফ্ট ব্যবহার করার বদলে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করুন। তাতেই অনেকটা কাজ হবে।