কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে নির্ণয় করা যেতে পারে এক জন ব্যক্তির হৃদ্রোগের ঝুঁকি রয়েছে কি না। প্রতীকী ছবি।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে বিপদ ঘটার আগেই শনাক্ত করা যাবে সংবহনতন্ত্রের সমস্যা। ফলে কমবে হৃদ্রোগের ঝুঁকি। আটকানো যাবে স্ট্রোকও। এমনই আশা কথা শোনালেন লন্ডনের কিংস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, একটি ‘এআই’-চালিত স্ক্যান সফল ভাবে হৃদ্রোগের সমস্যা চিহ্নিত করতে সক্ষম।
একটি বিজ্ঞান পত্রিকায় প্রকাশিত কিংস্টন ইউনিভার্সিটির গবেষকদের সাম্প্রতিক গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা ‘এআই’ কে কাজে লাগিয়ে চোখ স্ক্যান করেই দ্রুত এবং সঠিক ভাবে নির্ণয় করা যেতে পারে, এক জন ব্যক্তির হৃদ্রোগের ঝুঁকি রয়েছে কি না। যে ‘অ্যালগরিদম’ কাজে লাগিয়ে এ কাজ করা হবে, তার নাম রাখা হয়েছে ‘কোয়ার্ৎজ’। সহজ করে বললে, অ্যালগরিদম এমন একটি পদ্ধতি যেখানে বিভিন্ন ধরনের তথ্য সাজিয়ে একটি বিধি তৈরি করা হয়, আর সেই পূর্বনির্দিষ্ট বিধিনিয়মের উপর ভিত্তি করে গাণিতিক ভাবে সমস্যার সমাধান করা হয়। তার মানে, এই পদ্ধতিতে যে কেবল অঙ্ক কষা হয় এমন কিন্তু নয়। বিভিন্ন ধরনের তথ্য বিশ্লেষণ করতে এই পদ্ধতি কাজে লাগে। এই পদ্ধতিতে রেটিনার রক্তবাহগুলি পরীক্ষা করা হয়। এক মিনিটেরও কম সময়ে এই পদ্ধতি একটি একক রেটিনার চিত্র মূল্যায়ন করতে সক্ষম।
গবেষকরা পরীক্ষামূলক ভাবে ব্রিটেনের ৪০ থেকে ৬৯ বছর বয়সি ৮৮,০৫২ জন ব্যক্তির চোখের রেটিনার ছবি নিয়েছিলেন। তাঁদের বয়স, লিঙ্গ, ধূমপানের অভ্যাস, চিকিৎসার ইতিহাস ঘেঁটে দেখা হয়। তার সঙ্গে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক এবং সংবহনতন্ত্রজনিত রোগের পরিসংখ্যান তুলনা করে সম্ভাব্য সমস্যাগুলি চিহ্নিত করা হয়। এ বার সেই তথ্য বিশ্লেষণ করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এর পর চোখের ধমনীর প্রস্থ, ধমনীর ক্ষেত্রফল এবং বক্রতার মাপ পরীক্ষা করে বলে দেওয়া যাবে, কতটা সমস্যা রয়েছে রক্তবাহে। বিজ্ঞানীদের আশা, যে হেতু এই অত্যাধুনিক পরীক্ষা সহজে ও খুব অল্প সময়ে করা যেতে পারে, তাই ভবিষ্যতে স্ট্রোক ও হৃদ্রোগের সমস্যা চিহ্নিত করতে খুবই কাজে আসতে পারে এই পদ্ধতি।