অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও কর্মব্যস্ত জীবনে অল্প বয়স থেকেই ক্রনিক অসুখে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। ছবি: শাটারস্টক
অল্পবয়সিদের মধ্যে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ছে। কেকে, সিদ্ধার্থ শুক্ল, সিদ্ধার্থ সূর্যবংশীর উদাহরণ মৃত্যুভীতি তৈরি করছে অল্পবয়সিদের মনে। যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ আছে, রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি কিংবা যাঁদের স্থূলতার সমস্যা রয়েছে, তাঁদের হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও কর্মব্যস্ত জীবনে অল্প বয়স থেকেই ক্রনিক অসুখে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।
চিকিৎসকরা কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের আর একটি ধরন নিয়েও বার বার সতর্ক করছেন। মাঝেমধ্যেই শোনা যায়, জিম করতে করতে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। তাঁদের মতে, হার্ট অ্যাটাক সব সময়ে যে আচমকা হবে, এমন নয়। বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে ‘সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক’-এরও শিকার হন অনেকে। এই প্রকারের অ্যাটাকে সব রকম উপসর্গ দীর্ঘ সময় ধরে আসে। এই উপসর্গগুলি আমরা অনেক ক্ষেত্রেই অন্য রোগের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলি। অনেক সময়ে এই ধরনের হার্ট অ্যাটাকে সে ভাবে কোনও ব্যথাও অনুভব করেন না রোগী। কিন্তু ভিতরে ভিতরে ঘটে যায় হার্ট অ্যাটাক।
এই প্রকার হৃদ্রোগের উপসর্গ কী?
১) এই প্রকার হার্ট অ্যাটাকে বুকে চাপ, ব্যথা, এগুলি মাঝেমাঝে আসে। আবার সেরেও যায়। আমরা ভেবে বসি, গ্যাসের সমস্যা।
২) মাঝেমাঝে বুকে চিনচিনে ব্যথা সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম লক্ষণ। বুকের বাঁ দিকে ব্যথা তো বটেই, অনেক সময়ে গোটা বুক জুড়েই চাপ ও অস্বস্তি অনুভব করেন রোগী।
৩) শুধু বুকেই নয়, বাহু, পিঠ, ঘাড় ও চোয়ালে ব্যথাও কিন্তু এই ধরনের হার্ট অ্যাটাকের পূর্বলক্ষণ হতে পারে। সঙ্গে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও দেখা যায়।
৪) খুব অল্পেই ক্লান্ত হয়ে পড়া, সামান্য শারীরিক পরিশ্রমেই হাঁপাতে দেখা যায়। এমনকি, এক জায়গায় বসে থেকেও ক্লান্তি আসতে পারে এমন অবস্থায়।
৫) শীতকালেও অস্বাভাবিক ভাবে ঘেমে যাচ্ছেন? কিংবা মাঝেমাঝেই ঠান্ডায় কাঁপুনি দিচ্ছে। এই লক্ষণগুলি দেখা দিলেও সাবধান হতে হবে।