প্রথম পাতে ঘি খাওয়া এমনিতে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। ছবি: সংগৃহীত।
ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে ঘি খেতে চান না অনেকেই। উচ্চ রক্তচাপ কিংবা হার্টের কোনও সমস্যা থাকলেও ঘি না খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। তবে পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা না থাকলে প্রথম পাতে ঘি খাওয়া এমনিতে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। তবুও ঘি খাওয়া নিয়ে ভয়ে থাকেন অনেকেই। তবে পাঁচটি উপকরণ ঘিয়ে মিশিয়ে নিলেই সুস্থ থাকবে শরীর।
দারচিনি
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে দারচিনি। অ্যান্টি ব্যাকটিরিয়াল এবং অ্যান্টি ভাইরাল গুণও রয়েছে এই মশলায়। একটি পাত্রে ঘি গরম করে দারচিনির দু’টি কাঠি ফেলে দিয়ে ৪ থেকে ৫ মিনিট গরম করুন। তার পর ভাল করে ঠান্ডা করে নিয়ে শিশিতে ভরে নিন।
হলুদ
ওজন ঝরানোর ক্ষেত্রে হলুদ এবং ঘি দারুণ উপকারী। হলুদ সব রকম প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। কিডনি এবং হৃদ্যন্ত্র সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে ঘি-হলুদের মিশেল। এক কাপ ঘিয়ে ১/২ চা চামচ হলুদ এবং গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে একটি শিশিতে রেখে দিন। রোজ খেলে উপকার পাবেন।
তুলসী
অনেকেই আছেন যাঁরা বাড়িতেই ঘি তৈরি করে নেন। কিন্তু ঘি বানানোর সময়ে যে গন্ধ বেরোয়, তা অনেকেই সহ্য করতে পারেন না। তাই তৈরির সময়ে কয়েকটি তুলসীপাতা ছিড়ে মিশিয়ে দিন। এতে শুধু গন্ধই দূর হবে না, ঘিয়ের স্বাদও অন্য রকম হবে। সর্দি-কাশি সারাতে বা প্রতিরোধশক্তি বাড়াতে তুলসী দারুণ উপকারী।
কর্পূর
হাঁপানির রোগীদের জন্য কর্পূর দারুণ উপকারী। হৃদ্যন্ত্র সুস্থ রাখতে এবং হজমশক্তি বাড়াতেও সক্ষম কর্পূর। ঘিয়ের সঙ্গে কর্পূর মিশিয়ে খেলে শরীরের অনেক সমস্যার সমাধান হয় নিমেষে।
রসুন
রসুন শরীরের সব রকম প্রদাহ কমায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে। একটি পাত্র গরম করে তাতে কয়েক টুকরো রসুন দিয়ে ৪-৫ মিনিট নাড়তে থাকুন। তার পর আঁচ বন্ধ করে ঢেকে রেখে দিন কিছু ক্ষণের জন্য।