দানাশস্য যুক্ত আটার পাউরুটিতে থাকা সহজপাচ্য ফাইবার লিভারে উৎপন্ন উৎসেচকগুলির ক্ষরণ বাড়িয়ে তোলে। ছবি- সংগৃহীত
ওজন বেড়ে যাওয়া, বিশেষ করে পেটের মেদ বেড়ে যাওয়ার ভয়ে পাউরুটির দিকে ফিরেও তাকান না। কিন্তু সাধারণ পাউরুটির বদলে ‘হোলগ্রেন’ পাউরুটি খেলে যে মেদ ঝরতে পারে, সে কথা কি জানেন? ‘প্লান্ট ফুড ফর হিউম্যান নিউট্রিশন’-এ প্রকাশিত সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে অন্তত তেমনটাই জানা গিয়েছে।
জাপানের ৫০ জন বাসিন্দা এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। ২৫ জনের একটি দলকে সাধারণ ময়দার পাউরুটি এবং অন্য দলটিকে ‘হোলগ্রেন’ বা দানাশস্য দেওয়া পাউরুটি খেতে দেওয়া হয়েছিল। তিন মাস পর গবেষণা শেষে দ্বিতীয় দলটির ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, প্রত্যেকের উচ্চতা, ওজন সাপেক্ষে যে তাদের ‘বডিমাস ইনডেক্স’ বা ‘বিএমআই’-এর মান সাধারণ ভাবে যা থাকার কথা, তার থেকেও কমে গিয়েছে। সেই সমীক্ষার সাপেক্ষেই গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন।
পাউরুটি খেয়ে পেটের মেদ ঝরে কী করে?
পেটের অভ্যন্তরে, বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেমন অন্ত্র, লিভারের গায়ে লেগে থাকা মেদের স্তর হৃদ্রোগ, ডায়াবিটিস বা ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। চিকিৎসকদের মতে, দানাশস্য যুক্ত আটার পাউরুটিতে থাকা সহজপাচ্য ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজগুলি লিভারে উৎপন্ন উৎসেচকগুলির ক্ষরণ বাড়িয়ে তোলে, যা পরবর্তীকালে ‘ভাল’ কোলেস্টেরলে পরিণত হয়। এ ছাড়াও এই উৎসেচকগুলি বিপাক হার বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে। যার প্রভাব পড়ে রক্তে শর্করার মাত্রার উপর। ওজন ঝরানোও অনেক সহজ হয়।
তাই বলে কি সকলেই এই ধরনের পাউরুটি খেতে পারবেন?
চিকিৎসকদের মতে, যাঁদের কম ফাইবার বা কম কার্বযুক্ত খাবার খেতে বলা হয়, তারা এই পাউরুটি না খাওয়াই ভাল। এই ধরনের পাউরুটি কোনও দিক থেকেই অস্বাস্থ্যকর নয়। তবে, হজমের সমস্যা থাকলে বা ‘গ্লুটেন’জাতীয় খাবারে অ্যালার্জি থাকলে ‘হোলগ্রেন’ আটার পাউরুটি খাওয়া যাবে না।