শুধু বাচ্চাদের নয়, বড়দেরও চাই দুধ। ছবি- সংগৃহীত
শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় একটি পানীয় হল দুধ। ক্যালশিয়াম, জ়িঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন ডি-এর মতো যৌগে ভরপুর এই পানীয় বাচ্চাদের তো বটেই, বড়দেরও জন্য সমান উপকারী। কিন্তু এই মেদ ঝরিয়ে ছিপছিপে হতে গিয়ে ডায়েট থেকে দুধ একেবারে বাদ দিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু পুষ্টিবিদদের একাংশ মনে করেন, দুধ দিয়ে তৈরি এমন কিছু পানীয় আছে যা ভাত, রুটির বদলে খাওয়া যায়। অতএব বাড়তি ক্যালোরি নিয়ে চিন্তাও থাকে না। কিন্তু কী ভাবে বানাবেন তেমন পানীয়? দুধ দিয়ে বানানো যায় এমন তিনটি পানীয়ের হদিস রইল এখানে।
দারচিনি গুঁড়ো এবং দুধ
উপকরণ
দুধ: ১ কাপ
দারচিনির ডাল: ১টি
দারচিনি গুঁড়ো: এক চিমটে
প্রণালী
একটি পাত্রে দুধ ফুটতে দিন। এর মধ্যে দিয়ে দিন গোটা একটি দারচিনি ডাল। ভাল করে ফুটিয়ে নিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন কিছু ক্ষণ। এ বার দুধ থেকে দারচিনির ডাল তুলে নিয়ে, গ্লাসে ঢেলে ফেলুন। উপর থেকে সামান্য দারচিনির গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন।
কলা এবং চিয়া বীজের পুডিং
উপকরণ
কাঠবাদামের দুধ: ১ কাপ
গ্রিক ইয়োগার্ট: আধ কাপ
মেপল সিরাপ: ১ টেবিল চামচ
ভ্যানিলা: আধ চা চামচ
চিয়া বীজ: আধ কাপ
কলা: ১টি
স্ট্রবেরি কুচি: আধ কাপ
ব্লুবেরি: আধ কাপ
নারকেল কুচি: আধ কাপ
প্রণালী
১) প্রথমে একটি পাত্রে দুধের সঙ্গে মেপল সিরাপ এবং ভ্যানিলা এসেন্স ভাল করে মিশিয়ে নিন।
২) এর পর দিন চিয়া বীজ। এ বার ঢাকা দিয়ে সারা রাত ফ্রিজে রেখে দিন।
৩) পরের দিন সকালে ফ্রিজ থেকে চিয়া বীজের মিশ্রণ বার করার আগে শুকনো খোলায় নারকেল কুচি একটু নেড়ে নিন।
৪) এর পর ফ্রিজ থেকে পুডিং বার করে, মিশিয়ে নিন স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি এবং কলা। ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে ছোট বাটিতে তুলে উপর থেকে নারকেল কুচি ছড়িয়ে নিন।
ছাতুর মিল্কশেক
উপকরণ
গুড়: ৩ টেবিল চামচ
ছোট এলাচ: আধ চা চামচ
কেশর: এক চিমটে
কাজুবাদাম: ৫টি
কাঠবাদাম: ৫টি
ছোলার ছাতু: ১ কাপ
দুধ: ৫০০ মিলি
প্রণালী
১) প্রথমে ব্লেন্ডারে দুধ, ছাতু, ছোট এলাচ গুঁড়ো, কেশর এবং গুড় একসঙ্গে মিশিয়ে নিন।
২) এ বার গ্লাসে ঢেলে উপর থেকে ছড়িয়ে দিন কাজু এবং কাঠবাদামের কুচি।