Kunal Kamra Controversy

আমাকে ফোন করলেই শুনতে পাবেন সেই গানটি, ভয়ে খাটের তলায় লুকোচ্ছি না: কুণাল কামরা

শাহরুখ খান-করিশ্মা কপূর-মাধুরী দীক্ষিত অভিনীত ‘দিল তো পাগল হ্যায়’ ছবির গান ‘ভোলি সি সুরত’ গানটির প্যারোডি করে গেয়েছিলেন কুণাল। নাম না করলেও তাঁর শানিত ব্যঙ্গের লক্ষ্য যে ছিলেন মহারাষ্ট্রের বর্তমান উপ-মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্দে, তা বোঝা গিয়েছিল স্পষ্ট।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৫ ১৩:৪৬
Unknown phone calls going to his voicemail where caller can hear the particular song says Kunal karma

ইতিমধ্যেই কুণাল কামরাকে তলব করেছে মুম্বই পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত।

রসিকতা করে গানে গানে ‘গদ্দার’ (বিশ্বাসঘাতক) বলেছিলেন রাজনৈতিক নেতাকে। ফল ভুগতে হচ্ছে তার পর থেকে। যে স্টুডিয়ো থেকে ভিডিয়ো রেকর্ড করেছিলেন, সেই স্টুডিয়ো ও হোটেলে ভাঙচুর চালিয়েছেন নেতার অনুগামীরা। রসিক শিল্পীর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে লিখিত অভিযোগও। তিনি কুণাল কামরা। বহু দিন আগে থেকেই তিনি প্রতিষ্ঠান-বিরোধিতার তকমা গায়ে এঁটে ঘোরেন। লোকসভা নির্বাচনের আগেও বিজেপি-বিরোধিতার সুর শোনা গিয়েছিল তাঁর গলায়।

Advertisement

এ বার একনাথ শিন্দের বিরুদ্ধে ব্যঙ্গ শানিয়ে হুমকি পাচ্ছেন কুণাল। নিজেই সমাজমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, “এই সময় যাঁরা আমার ফোন নম্বর ফাঁস করতে বা অনবরত আমায় ফোন করে বিরক্ত করতে ব্যস্ত তাঁদের বলি, আমি নিশ্চিত আপনারা এত ক্ষণে বুঝতেই পেরেছেন সমস্ত অচেনা নম্বর থেকে আসা কল ‘ভয়েসমেল’-এ চলে যাচ্ছে, সেখানে আপনারা সেই গানটি শুনতে পাচ্ছেন যেটি আপনাদের খুবই অপছন্দ।”

উল্লেখ্য, শাহরুখ খান-করিশ্মা কপূর-মাধুরী দীক্ষিত অভিনীত ‘দিল তো পাগল হ্যায়’ ছবির গান ‘ভোলি সি সুরত’ গানটির প্যারোডি করে গেয়েছিলেন কুণাল। নাম না করলেও তাঁর শানিত ব্যঙ্গের লক্ষ্য যে ছিলেন মহারাষ্ট্রের বর্তমান উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্দে, তা বোঝা গিয়েছিল স্পষ্ট।

কিন্তু সত্যিই কি এই রসিকতার মধ্যে কোনও অপরাধ রয়েছে? পক্ষে-বিপক্ষে আড়াআড়ি ভাগ হয়ে গিয়েছে ভারতীয় রাজনীতি। ইতিমধ্যেই পুলিশ তলব করেছে কৌতুকশিল্পীকে। মঙ্গলবার সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, “আমি ক্ষমা চাইব না। আমি যা বলেছি, তা এর আগে অজিত পওয়ারও (মহারাষ্ট্রের প্রথম উপমুখ্যমন্ত্রী) বলেছিলেন একনাথ শিন্দে সম্পর্কে। আমি উন্মত্ত জনতাকে ভয় পাই না এবং কোনও ভাবেই খাটের তলায় লুকোব না। আপাতত বিষয়টি স্তিমিত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করছি।”

এখানেই শেষ নয়, নিজের বক্তব্যে বাক্‌স্বাধীনতার প্রসঙ্গ তুলে এনে কুণাল বলেছেন, “ভুলে গেলে চলবে না, বিশ্বে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় ভারতের স্থান ১৫৯-এ।”

Advertisement
আরও পড়ুন