বিয়ের অনুভূতি ভাগ করে নিলেন পৌলোমী। ছবি: বার্ডলেন্স ক্রিয়েশনস্।
আইনি বিয়ে সেরেছিলেন ১৭ নভেম্বর। শুক্রবার আনুষ্ঠানিক বিয়ে সারছেন পৌলোমী দাস। পাত্র কে? তা নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই কৌতূহল টলিপাড়ায়। অভিনেত্রী নিজেই জানিয়েছেন, গত এক বছরে বিয়ে নিয়ে চাপ দিয়েছে পরিবার। তার পরে বাবা-মা নিজেরাই পাত্র-পাত্রী সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেন। সেখান থেকেই পাত্র ঋদ্ধিমানের সঙ্গে আলাপ পৌলোমীর।
সকাল থেকেই বিয়ের নানা রীতি শুরু হয়েছে। হয়ে গিয়েছে গায়েহলুদ পর্ব। হলুদ শাড়ির সঙ্গে হলুদ গয়না ও ফুলের মালা পরে গায়েহলুদ সেরেছেন অভিনেত্রী। বিয়ে নিয়ে পৌলোমী বলেন, “আমার সত্যিই খুব আনন্দ হচ্ছে। নিজেকে ভাগ্যবতী মনে হচ্ছে। মনের মধ্যে নানা রকমের আবেগ খেলে বেড়াচ্ছে। একটা অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে। এত দিন এই বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে থেকেছি। কাল থেকে আর রোজ এই বাড়িতে থাকা হবে না। সকাল থেকে সেই ভাবনা আসছে। হঠাৎ এই দূরত্ব তো যন্ত্রণা দেয়ই।”
তবে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করতে পেরে খুশি পৌলোমী। অভিনেত্রীর কথায়, “এটা একটা নতুন সূচনা। তাই আনন্দ হচ্ছে।” পাত্র ঋদ্ধিমান মজুমদারের সঙ্গে টলিপাড়ার কোনও যোগ নেই। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। তথ্যপ্রযুক্তির চাকরি ছেড়ে নিজের ব্যবসা শুরু করেছেন তিনি। পৌলোমী জানিয়েছেন, জীবনের পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে সময় লেগেছিল তিন থেকে চার মাস। তাঁর কথায়, প্রথম তিন থেকে চার মাস আমরা শুধুই দেখা করেছি আর কফি খেয়েছি। তার পর আমাদের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। সময়ের সঙ্গে বুঝতে পারি, ঋদ্ধিমানের মতোই একজনকে আমি জীবনসঙ্গী হিসাবে পেতে চাই। ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে সম্বন্ধ দেখে বিয়ে করছি, এই বিষয়টা আমার বেশ ভাল লেগেছে।”