বিয়ে করলেন পায়েল দেব ও শিখর টন্ডন। ছবি: সংগৃহীত।
গত বছর পঞ্জাবি মতে ‘রোকা’ (বাগ্দান) সেরেছিলেন। বৃহস্পতিবার পঞ্জাবি পোশাক ব্যবসায়ী শিখর টন্ডনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধলেন পায়েল দেব। কোভিডের সময় সমাজমাধ্যমে আলাপ দু’জনের। সেখান থেকেই প্রেম। গত কয়েক দিন ধরেই সমাজমাধ্যমে একের পর এক আইবুড়োভাত পর্বের ছবি ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেত্রী। বৃহস্পতিবার সকালে গায়েহলুদের ছবি পোস্ট করেন পায়েল।
পঞ্জাবি প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে। কিন্তু বিশেষ দিনের জন্য পায়েল বেছে নিয়েছিলেন সাবেক লাল রঙের বেনারসি শাড়ি। প্রসাধনীতেও ছিল সাবেকিয়ানার স্পর্শ। বেনারসির সঙ্গে পরেছিলেন মানানসই সোনার ভারী গয়না। তবে বর বেছে নিয়েছিলেন পঞ্জাবি সাজ। ঘিয়ে রঙের শেরোয়ানি, পায়ে সাদা জুতো এবং মাথায় পাগড়ি— এমনই ছিল শিখরের সাজ। যদিও লগ্নের সময় বাঙালি বরের পোশাকেই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তিনি।
গায়েহলুদ অনুষ্ঠানের জন্য পায়েল বেছে নিয়েছিলেন হলুদ রঙের লেহঙ্গা এবং ফুলের গয়না। চোখে ছিল নজরকাড়া পাথরখচিত রোদচশমা।
শিখরের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন পায়েল। তিনি বলেছিলেন, “কোভিড কাল অনেকের কাছে অভিশপ্ত। কিন্তু আমার কাছে আশীর্বাদস্বরূপ। ওই সময় সমাজমাধ্যমের হাত ধরে আমি শিখরকে পেয়েছি। সম্পর্কে জড়ানোর আগে যাচাই করে নিয়েছিলাম। ভাল করে মিশেছি। আমার মা-বাবারও ওকে পছন্দ হয়েছে। তার পর বিয়েতে রাজি হয়েছি।” পায়েল এ-ও জানিয়েছিলেন, বরাবরই ভিন্ন সংস্কৃতির মানুষকে সঙ্গী হিসাবে পেতে চেয়েছিলেন তিনি। বিশেষ করে পঞ্জাবি ছেলেকেই বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। তবে পায়েলের স্বামীর জন্ম কলকাতাতেই। স্পষ্ট বাংলাও বলতে পারেন তিনি। তিনি নাকি মাছ খেতেও বেশ ভালবাসেন।
উল্লেখ্য, পায়েলের বিয়েতে টলিপাড়ার অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিতেও যোগ রয়েছে পায়েলের। তৃণমূলের সদস্য হিসাবেও পরিচিত তিনি। বেশ কিছু নির্বাচনী প্রচারেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। পায়েলের বিয়েতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।