বিয়েতে শ্রুতি-স্বর্ণেন্দুর পোশাকের থিম ছিল সাদা। ছবি : ইনস্টাগ্রাম।
৮ জুলাই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন টেলিভিশনের জনপ্রিয় জুটি শ্রুতি দাস-স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার। ‘ত্রিনয়নী’র সেটে প্রথম দেখা। এক জন পরিচালক, অন্য জন অভিনেত্রী। শুরুর সময় যদিও শ্রুতিকে তেমন ভাল লাগত না স্বর্ণেন্দুর। তবে সময় বয়ে গিয়েছে। কাজের সম্পর্কের বাইরে শ্রুতির কাছের মানুষের জায়গা দখল করেছেন স্বর্ণেন্দু। একটা সময়ের স্বর্ণেন্দুদা শ্রুতির ‘বাবি’ থেকে পেলেন স্বামীর জায়গা। প্রায় চার বছরের বেশি সময় ধরে সম্পর্কে থাকার পর এক হলেন যুগল। এমনিতেই তারকাদের বিয়ে মানেই এলাহি আয়োজন। তবে একেবারে চলতি হাওয়ার বিপরীতে হেঁটেছেন তাঁরা। বিয়ের জন্য পোশাকের থিম ছিল সাদা। স্বর্ণেন্দুর পরনে ছিল সাদা ধুতি এবং পাঞ্জাবি। শ্রুতির পরনে সাদা শাড়ি। রুপোর গয়নায় সেজেছিলেন কনে। বিয়ে হলেও একসঙ্গে থাকাটা এখনই হচ্ছে না যুগলের। নেই কোনও কালরাত্রি, বৌভাতের আয়োজন। তা হলে কেমন ছিল শ্রুতি-স্বর্ণেন্দুর বিয়ের আয়োজন, আনন্দবাজার অনলাইনকে জানালেন পর্দার ‘রাঙা বউ’।
বেশ কয়েক ধরে কানাঘুষোটা চলছিলই, বিয়ে করতে চলেছেন শ্রুতি-স্বর্ণেন্দু। ১৪ বছরের বড় পরিচালকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আনার পর কম কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়নি শ্রুতিকে। তবে সে সব কটু কথাকে পেরিয়ে এসে নতুন জীবন শুরু করলেন তাঁরা। তবে সবটাই একটু চুপিসারেই করলেন নায়িকা। বিয়েতে ছিল না কোনও ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুবান্ধব। কারণ জানালেন অভিনেত্রী। শ্রুতির কথায়, ‘‘আমাদের জীবনে বলেকয়ে কিছু হয় না। এক মাস আগে শুটিং সেটে বসে ঠিক করলাম, বিয়ে করব আমরা। এই মুহূর্তে দু’জনে একসঙ্গে কাজ করছি ‘রাঙা বউ’ সিরিয়ালে। তাই ভাবলাম এর পরের কাজগুলো থেকে তেমন সুযোগ না পেলে!’’
আজকাল কি বলিউডকে অনুকরণ করেই টেলি তারকারা ঘনিষ্ঠ বৃত্তে বিয়ে করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করছেন? অভিনেত্রীর সাফ কথা, ‘‘আমরা দু’জনেই কর্মব্যস্ততার মধ্যে বিয়ে করতে চেয়েছি। আমরা ইন্ডাস্ট্রির কাউকে জানাইনি, কারণ সময় পাইনি। আর আমার মনে হয় না, খাওয়ানো কিংবা পার্টি দেওয়াতে বিয়েতে আশীর্বাদ পাওয়া যায়। যাঁরা সত্যি মন থেকে আশীর্বাদ করতে চান, তাঁরাই উপস্থিত ছিলেন বিয়েতে। আসলে এখনকার দিনে আন্তরিকতা চলে যাচ্ছে বলেই হয়তো একান্ত ঘনিষ্ঠ পরিবার-পরিজনদের নিয়ে বিয়েতে স্বচ্ছন্দ আমাদের প্রজন্ম। তবে আমার ক্ষেত্রে সময়ের অভাব। তাই ডাকতে পারিনি সবাইকে।’’
আইনের চোখে বিবাহিত শ্রুতি-স্বর্ণেন্দু। জীবনের এই বদল আসায় কী মনে হচ্ছে? শ্রুতির জবাব, ‘‘শাঁখা-পলা-হাফ প্যান্ট পরে ঘুরছি। বিয়ের পর স্বর্ণ ওর বাড়িতে, আমি আমার বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকছি। আমাদের কোনও কালরাত্রি নেই, বৌভাত নেই, আজকেই একসঙ্গে শুটিং করব। বিয়ের আগে থেকেই আমরা দু’জনে সংসারী ছিলাম। শুধু বিবাহিত স্ট্যাম্প পড়ল আর কিছু পরিবর্তন হয়নি। কাজের মধ্যে বিয়ে করতে চেয়েছিলাম, সেটাই করেছি। ‘রাঙা বউ’ আমাকে সত্যি বৌ বানিয়ে দেবে সেটা ভাবিনি।’’