Shatrughan Sinha

মেয়ের বিয়ের পরেই ৪৪ বছর আগের কথা তুললেন শত্রুঘ্ন, অতীতের কোন সত্য উঁকি দিল স্মৃতিতে?

শত্রুঘ্নের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী পুনম সিন্হা এবং অভিনেত্রী রিনা রায়ের সম্পর্ক নিয়েও কাটাছেঁড়া চলেছে গত কয়েক দিনে। এমন পরিস্থিতিতে মেয়ের বিয়ের পর নিজের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন বর্ষীয়ান অভিনেতা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪ ১৮:২২
Image of Shatrughan Sinha with wife and daughter.

স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে শত্রুঘ্ন সিন্‌হা। ছবি: সংগৃহীত।

সোনাক্ষী সিন্হা বিয়ে করলেন জ়াহির ইকবালকে। তারকাসন্তানের বিয়ে নিয়ে সব সময়ই উৎসাহ থাকে সাধারণ মানুষের মধ্যে। তার উপর আবার ভিন্ ধর্মের মানুষকে বিয়ে করছেন বলিউডের ‘আসলি সোনা’ (এই নামেই ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল চালান সোনাক্ষী)। ফলে বিয়ের দিন ঘোষণার পর থেকেই নানা রকম আলোচনা হয়েছে। এক দল মানুষের কটূক্তির শিকার হয়েছেন সোনাক্ষী। রেহাই পাননি তাঁর বাবা, অভিনেতা ও সাংসদ শত্রুঘ্ন সিন্হাও।

Advertisement

শত্রুঘ্নের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী পুনম সিন্হা এবং অভিনেত্রী রিনা রায়ের সম্পর্ক নিয়েও কাটাছেঁড়া চলেছে গত কয়েক দিনে। এমন পরিস্থিতিতে মেয়ের বিয়ের পর নিজের সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। সংবাদমাধ্যমের তরফে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, কেমন লাগছে? উত্তরে শত্রুঘ্ন বলেন, “এটা একটা প্রশ্ন হল? মেয়েকে তাঁর প্রিয় মানুষের হাতে তুলে দেওয়ার এই মুহূর্তটির জন্য সব বাবাই অপেক্ষা করেন। জ়াহিরের পাশে আমার মেয়েকে সব থেকে খুশি মনে হয়। ওদের জুটি অক্ষুণ্ণ থাকুক।”

এর পরেই শত্রুঘ্ন বলতে শুরু করেন, “আজ থেকে ৪৪ বছর আগে শত্রুঘ্ন সিন্হা নিজে পছন্দ করে একজন অত্যন্ত সফল, সুন্দরী এবং প্রতিভাবান তরুণীকে বিয়ে করেছিল, পুনম সিন্হা। আর এ বার সোনাক্ষীর পালা।”

সোনাক্ষী-জ়াহিরের প্রেমে যে অনেক বাধা ছিল তার প্রমাণ তাঁরা রেখেছেন সমাজমাধ্যমে। ইনস্টাগ্রামে বিয়ের ছবি ভাগ করে সোনাক্ষী লিখেছেন, “আজ থেকে সাত বছর আগে ঠিক এই দিনেই (২৩.০৬.২০১৭) আমরা পরস্পরের চোখে বিশুদ্ধ ভালবাসা দেখতে পেয়েছিলাম, তার পর আমরা সেটা ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। সেই ভালবাসাই আমাদের দীর্ঘ লড়াই ও জয়ের পথপ্রদর্শক। দুই পরিবার ও আমাদের দু’জনের ঈশ্বরের আশীর্বাদে আজ এখানে এসে দাঁড়িয়েছি আমরা।”

কিন্তু সোনাক্ষী বা জ়াহিরের সমাজমাধ্যমের সমস্ত পোস্টেই মন্তব্য বাক্স বন্ধ করে রাখা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, অনর্গল ঘৃণা-ভাষণ বন্ধ করতেই এই পদক্ষেপ।

আরও পড়ুন
Advertisement