প্রেমে সুস্মিতা দে-সাহেব ভট্টাচার্য? সংগৃহীত চিত্র।
‘‘প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে, কে কোথা ধরা পড়ে কে জানে!’’
রুপোলি দুনিয়ার এ দিক-সে দিক পাতা সেই গোলাপি ফাঁদ। তাই সেখানে গুঞ্জন ওঠে প্রতি মুহূর্তে। সেই গুঞ্জনেই এখন শোনা যাচ্ছে দু’টি নাম, সাহেব ভট্টাচার্য-সুস্মিতা দে।
অভিনয় জগতে পা রাখার আগেই সুস্মিতা একটি সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন। ছোট পর্দায় জনপ্রিয় হওয়ার পরেও সেই প্রেম অটুট ছিল। কিন্তু সম্প্রতি জানা যাচ্ছে, সুস্মিতার পুরনো প্রেম ভেঙে গিয়েছে! এমনকি প্রেমিক অনির্বাণ রায়ের সঙ্গে যৌথ ভাবে একটি ফ্ল্যাট কিনে ফেলার পরও বিমুখ হয়েছেন সুস্মিতা। শোনা যাচ্ছে, এই সম্পর্ক ভাঙার পিছনে রয়েছে নতুন প্রেম। নতুন করে প্রেমে পড়েছেন নায়িকা, তাঁর সাম্প্রতিক ধারাবাহিক ‘কথা’র নায়ক সাহেবের।
কিন্তু সত্যিই কি এমন কিছু ঘটেছে? সে সব কথা জানার আগে জেনে নেওয়া যাক কেন এমন কানাঘুষো ছাড়াচ্ছে টেলিপাড়ায়।
২০২৩-এর ডিসেম্বর ধারাবাহিক ‘কথা’-য় প্রথম জুটি বাঁধেন সাহেব-সুস্মিতা। শুরুতে কেউ কাউকে চিনতেন না। সেটে অভিনয়ের সূত্রেই আলাপ। সূত্রের খবর, ধারাবাহিক যত এগিয়েছে, সেই আলাপ ক্রমশ বন্ধুত্বে পরিণত হয়েছে। তা থেকেই ভাল লাগার সূত্রপাত। যা নাকি এখন ভালবাসায় পরিণত হয়েছে। অন্য দিকে, এই সময়ের মধ্যেই অনির্বাণের সঙ্গে নতুন ফ্ল্যাট কিনেছিলেন নায়িকা। সরস্বতী পুজোয় গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠানও হয়েছে। সেই সময় সুস্মিতা সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘‘রানিকুঠিতে একই তলে পাশাপাশি দুটো ফ্ল্যাট কিনলাম। দুটো এক করে বড় একটা ফ্ল্যাট বানিয়ে নিয়েছি। সেখানে এক দিকে থাকার ব্যবস্থা। অন্য দিকে স্টুডিয়ো।’’
একসঙ্গে বাড়ি কেনার কারণে তখন বিয়ের গুঞ্জন উঠেছিল। নায়িকা জানিয়েছিলেন, একসঙ্গে দু’জনে কিনলেও ফ্ল্যাটের মালিক আসলে সুস্মিতা। তার পর বেশ কিছু দিন কেটে গিয়েছে। কথা উঠেছে সাহেব-সুস্মিতার সম্পর্ক নিয়ে। যদিও এই মুহূর্তেও সুস্মিতার সমাজমাধ্যমে জ্বলজ্বল করছে অনির্বাণের ছবি। কিন্তু অনেকেই বলছেন, যত ছবি অনির্বাণের সঙ্গে রয়েছে, তার থেকে বেশি ছবি রয়েছে সাহেবের সঙ্গে।
ধারাবাহিক ‘অপরাজিতা অপু’ দিয়ে ছোট পর্দায় পা রেখেছিলেন সুস্মিতা। তার পর একাধিক ধারাবাহিক রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। কিন্তু এত দিন পর্যন্ত কোনও নায়কের সঙ্গে তাঁর নাম জড়ায়নি। তা হলে কী হল এ বার?
আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল সুস্মিতার কাছে। তিনি কিন্তু বিষয়টি নিয়ে নীরব। বলেছেন, ‘‘অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। আমি কিচ্ছু বলব না।’’ বদলে মুখ খুলেছেন সাহেব। তাঁর কথায়, ‘‘ধারাবাহিক সম্প্রচারের প্রথম দিন থেকে আমার আর সুস্মিতার জুটি দর্শকদের পছন্দ হয়েছে। দিন যত এগিয়েছে, আমাদের প্রতি তাঁদের ভালবাসা বেড়েছে। পর্দায় এভি-কথাকে দেখার জন্য ওঁরা মুখিয়ে থাকেন। অর্থাৎ, আমাদের রসায়ন পর্দায় ছাপ ফেলতে পেরেছে। সেই জায়গা থেকেই এই চর্চা বা রটনা। এর বেশি কিছুই নয়।’’