Sharmila Tagore

‘বন্দুকের গুলিই কথা বলবে!’ অন্য ধর্মে বিয়ে করায় হুমকি চিঠি পেয়েছিলেন শর্মিলার বাবা-মা

অনেকেই তাঁদের বিয়ে মেনে নেননি। এমনকি, বিয়ের আগে হত্যার হুমকির মুখেও পড়তে হয়েছিল শর্মিলাকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ভাগ করে নিলেন অতীতের সেই রোমহর্ষক অধ্যায়।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২৩ ১৪:১৬
Sharmila Tagore recalls getting death threats before her wedding with Tiger Pataudi

বিয়ের আগে হত্যার হুমকির মুখেও পড়তে হয়েছিল শর্মিলাকে। ফাইল চিত্র।

পেশা আলাদা। নিজ নিজ ক্ষেত্রে দু’জনেই ছিলেন তারকা। তবে দু’টি পথ এক হয়ে গিয়েছিল কোনও ভাবে। অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর এবং ক্রিকেটার মনসুর আলি খান পরস্পরের পটৌডি প্রেমে পড়েন। বিয়ে করেন ধর্মের বাধা অগ্রাহ্য করেই। যদিও পথ সহজ ছিল না।

অনেকেই তাঁদের বিয়ে মেনে নেননি। এমনকি, বিয়ের আগে হত্যার হুমকির মুখেও পড়তে হয়েছিল শর্মিলাকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ভাগ করে নিলেন অতীতের সেই রোমহর্ষক অধ্যায়। জানালেন, জয় হয়েছিল প্রেমেরই।

Advertisement

কলকাতায় বসে অসংখ্য বেনামি হুমকি পেয়েছিলেন শর্মিলার বাবা-মা। অভিনেত্রীর কথায়, “যখন আমরা বিয়ে করছি, কলকাতায় আমার বাবা-মা একাধিক টেলিগ্রাম পাচ্ছিলেন, যাতে লেখা ছিল, “বন্দুকের গুলিই কথা বলবে।” টাইগারের পরিবারেও এমন হুমকি পৌঁছয়। স্বভাবতই তাঁরা খানিকটা উদ্বিগ্ন হয়েছিলেন।” যদিও অভিনেত্রী জানান, তিনি এবং পটৌডি এ সব নিয়ে চিন্তিত ছিলেন না। বিয়ের অনুষ্ঠান, অভ্যর্থনা ভাল ভাবেই হয়ে গিয়েছিল, অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটেনি।

শর্মিলার কথায়, “আমরা শুধু আমাদের বাবা মাকে জানাতে চেয়েছিলাম যে, আমরা বিয়ে করতে চাই, আর কিছু নয়।”

এর পর শর্মিলা ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন সিনেমার কাজে। পটৌডিও ক্রিকেটে ডুব দেন। তবু নিরাপত্তার প্রশ্নটি অনেক দিনই জেগেছিল মাঝে। ‘দেবী’র অভিনেত্রী বলেন, “এক দিন দু’জন অপরিচিত ব্যক্তি এসে বলেন, দিল্লি থেকে তাঁদের পাঠানো হয়েছে। তাঁরা সিবিআই-এর লোক। তাঁরা জানতে চান, আমাদের নিরাপত্তার প্রয়োজন আছে কি না।” শর্মিলা জানান, কোনও প্রয়োজন নেই, তাঁরা দিব্যি আছেন।

১৯৬৮ সালে বিয়ে হয় শর্মিলা-পটৌডির। ৪৩ বছরের দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটে ২০১১ সালে। পটৌডি প্রয়াত হন। সেই থেকে সন্তান-সন্ততি নিয়ে সাথীহারা জীবন শর্মিলার।

আরও পড়ুন
Advertisement