শক্তি কপূর এবং শিবাঙ্গী কোলহাপুরে। ছবি: সংগৃহীত।
আশি এবং নব্বইয়ের দশকে শক্তি কপূর তাঁর অভিনয়গুণে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। ১৯৭৭ সালে অভিনয় জগতে পা রাখার পর তিনি এখনও পর্যন্ত ৬০০টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করে ফেলেছেন। কৌতুকাভিনেতা বা খলনায়ক— শক্তি দু’ধরনের চরিত্রেই সাবলীল। তবে, তাঁর ‘রোম্যান্টিক লাইফ’ সিনেমার চেয়ে কোনও অংশে কম ছিল না। বলিপাড়ার এক সময় নামকরা অভিনেত্রী ছিলেন তেজস্বিনী এবং পদ্মিনী কোলহাপুরে। তাঁদের বড় দিদি শিবাঙ্গীর প্রেমে পড়েছিলেন শক্তি। দু’বছর চুটিয়ে প্রেমও করেছিলেন দু’জনে। কিন্তু কখনও তাঁদের সম্পর্ক আলোর প্রচারে আসেনি। অবশেষে তাঁরা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলে, দু’জনেই নিজেদের বাড়িতে জানান। কিন্তু বিয়ে করার আগে শ্রদ্ধার মা শিবাঙ্গীকে শর্ত দেন শক্তি। তাঁকে বিয়ে করতে গেলে ছাড়তে হবে নিজের কেরিয়ার। যদিও নিজে তিনি তাঁর কর্মজীবন সফল ভাবে চালিয়ে গিয়েছেন। বিয়ের এত বছর পর কি অনুতাপ হচ্ছে শক্তির?
শক্তি এবং শিবাঙ্গীর বাবা-মা তাঁদের বিয়েতে মত দেননি। একে অপরকে ছাড়া থাকতে পারবেন না বলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান দু’জনে। তার পর ১৯৮২ সালে শিবাঙ্গীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন শক্তি। এই মুহূর্তে দুই সন্তানের বাবা-মা তাঁরা। মেয়ে শ্রদ্ধা কপূর বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম। তবে বিয়ের আগে শিবাঙ্গীকে নিজের অভিনয় থেকে গান, সব কিছু ছেড়ে গৃহিণী হওয়ার শর্ত দেন শক্তি। প্রেমের কথা ভেবে মেনেও নেন শিবাঙ্গী। যদিও শিবাঙ্গীর কাছে এমন অনুরোধ করার জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন। শক্তির কথায়, ‘‘মাত্র ১২ বছর বয়স যখন শিবাঙ্গীর, তখন একটি ছবির সেটে দেখা হয় ওর সঙ্গে। ওকে দেখেই মনে হয়েছিল ওর মতো ঘরোয়া সুন্দরী মেয়ে কোথায় পাব? এ ভাবে কাজকর্ম হচ্ছিল না। বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিই বেশ কয়েক বছর প্রেম করার পর। কিন্তু ওকে বলেছিলাম আমাকে বিয়ে করতে হলে তোমাকে নিজের কেরিয়ার, সঙ্গীত সব ছাড়তে হবে। কারণ আমি একজন গৃহবধূই চাইছিলাম। ও রাজি হতেই বিয়ে। আমি তার পর ওর কাছে হাতজোড় করে ধন্যবাদও জানাই।’’