সলমন খানের ছবি প্রকাশ্যে এল
কালো টি-শার্ট এবং জিনস। ডান হাতে নীল পাথরের ব্রেসলেট। ডান পাশ ফিরে শুয়ে আছেন সলমন খান। হাতে স্যালাইনের নল। আশেপাশে সমস্ত যন্ত্রপাতি। ছবিটি যে হাসপাতালের, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। শনিবার মধ্য রাতে পানভেলের খামারবাড়িতে সাপে কামড়ানোর পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ‘ভাইজান’-কে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই ছবি যে শনিবার রাতের বা রবিবার সকালেরই, সে বিষয়টির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
সলমনের পরিবার এবং ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, ছয় থেকে সাত ঘণ্টা মতো হাসপাতালে রাখা হয় বলি তারকাকে। তার পরে ফের নিজের খামারবাড়িতেই ফিরে যান সলমন। আপাতত সুস্থ আছেন এবং বিশ্রাম নিচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। রবিবার রাত থেকেই তাঁর ৫৬তম জন্মদিন পালন করা হবে বলে স্থির করা হয়েছিল। কিন্তু সাপে কামড়ানোর ঘটনার পরে তাঁর জন্মদিন কী ভাবে পালন হবে সে বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য এখনও মেলেনি।
শনিবার মধ্যরাতে পানভেলে নিজের খামারবাড়িতে তখন বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারছিলেন সলমন। হঠাৎ হাতে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। সেই মুহূর্তেই বন্ধুদের চোখে পড়ে সলমন যেখানে বসেছিলেন, সাপটি সেখান থেকে নেমে যাচ্ছে। তৎক্ষণাৎ চিৎকার করে সাহায্য চাইতে শুরু করেন বন্ধুরা। দেরি না করে নবী মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় ‘ভাইজান’কে। রাত তখন ৩টে।
পরে সেই সাপটিকে ছেড়ে আসা হয় জঙ্গলে। রবিবার সংবাদমাধ্যমকে এমনই জানিয়েছেন তাঁর বাবা সেলিম খান। তিনি বলেন, “যখন ঘটনাটি ঘটে, আমরা সবাই খুব চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। সলমনকে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাই ইঞ্জেকশন দেওয়ানোর জন্য। এই ক্ষেত্রে সেটি খুব জরুরি। ভাগ্যিস সাপটির বিষ ছিল না।”