Saif Ali Khan Case

কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে বাড়ির বাইরে পা, সাধারণতন্ত্র দিবসে একসঙ্গে সইফ ও করিনা

হাসপাতাল থেকে ফেরার পর বাড়ির বাইরে প্রথম পা রাখলেন অভিনেতা। নিরাপত্তা বেষ্টনীতে মুড়ে রাখা হয়েছে তাঁকে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:১৯
সাধারণতন্ত্র দিবসে প্রকাশ্যে সইফ আলি খান, করিনা কপূর খান।

সাধারণতন্ত্র দিবসে প্রকাশ্যে সইফ আলি খান, করিনা কপূর খান। ছবি: সংগৃহীত।

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন ২১ জানুয়ারি। ২৬ জানুয়ারি স্ত্রী করিনা কপূর খানকে নিয়ে বাড়ির বাইরে পা রাখলেন সইফ আলি খান। সেই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল। হামলার পরে স্বাভাবিক ভাবেই আক্রান্ত অভিনেতার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কড়া। পুলিশকর্মীরা ঘিরে রেখেছিলেন তাঁকে। করিনাকে ঘিরে নিরাপত্তারক্ষীদের অতটা বাড়াবাড়ি অবশ্য দেখা যায়নি।

Advertisement

অভিনেত্রীকে এ দিন ধূসর সোয়েটশার্ট আর কালো ট্র্যাক প্যান্টে দেখা যায়। মাথায় কালো টুপি। চোখ ঢেকেছিলেন রোদচশমায়। কিছুটা পিছনে সইফ। গাঢ় নীল টি শার্ট আর ডেনিম প্যান্ট, রোদচশমা পরেছিলেন তিনিও। দেখে বোঝার উপায় নেই, ১৬ জানুয়ারি তিনিই ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তবে ডান কানের নীচে, ঘাড়ের কাছে একটি ব্যান্ডেজ দেখা গিয়েছে স্পষ্ট। দু’জনেই অত্যন্ত দ্রুত গতিতে নির্দিষ্ট গাড়িতে উঠে পড়েন। তাঁদের গাড়ির আগে ছিল পুলিশের গাড়ি।

এ দিকে অভিনেতার উপরে হামলার তদন্তে নয়া মোড়। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ দীনেশ রাওয়ের দাবি, লীলাবতী হাসপাতাল বান্দ্রা পুলিশকে জানিয়েছিল, ছুরির আঘাতে গুরুতর জখম অভিনেতা। কিন্তু ফরেন্সিক তদন্ত অনুযায়ী, সইফের শরীরের ক্ষতগুলি কোনও ভোঁতা অস্ত্রের আঘাতে হয়েছে। এ ছাড়া, স্বাস্থ্যবিমা সংস্থার থেকেও চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা ভোগ করছেন অভিনেতা, এমনও অভিযোগ জন্ম নিয়েছে।

অভিযোগের আঙুল তুলেছে মুম্বইয়ের অ্যাসোসিয়েশন অফ মেডিক্যাল কনসালট্যান্টস। ছুরিকাহত তারকাকে শুশ্রূষা দিতে মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিলে। তাঁর সুচিকিৎসার জন্য রাতারাতি ২৫ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করে তাঁর স্বাস্থ্যবিমা সংস্থা। একই ভাবে চার দিনের মোট ৩৬ লক্ষ টাকা পেতেও তাঁর দেরি হয়নি। অথচ, সাধারণ মানুষ অধিকাংশ ক্ষেত্রে চিকিৎসা খাতে সইফের থেকেও কম অর্থ খরচ করে স্বাস্থ্য বিমার দ্রুত পরিষেবার এই বিশেষ সুবিধা পান না। কেন পান না? প্রশ্ন তুলেছে ওই চিকিৎসক সংগঠন। তারা এ-ও জানতে চেয়েছে, এই বৈষম্য কতটা কাম্য?

Advertisement
আরও পড়ুন