সইফ-কাণ্ডে নয়া মোড়, উঠল চমকপ্রদ তথ্য। ছবি: সংগৃহীত।
সইফ আলি খানের বাড়িতে ঢুকে গৃহকর্তার উপর হামলার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে শরিফুল ইসলাম শেহজ়াদকে। বছর একত্রিশের ওই যুবক আদতে বাংলাদেশের নাগরিক, জানিয়েছে মুম্বই পুলিশ। কিন্তু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, সে রাতে বান্দ্রার অভিজাত আবাসনে ঢুকে পড়া ব্যক্তি কি আদৌ শরিফুল? ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ থেকে শরিফুলের বাবা দাবি করেছেন, পুলিশের প্রকাশ করা সিসিটিভি ফুটেজে যে ব্যক্তিকে দেখা যাচ্ছে, তিনি তাঁর ছেলে শরিফুল নন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের কাছে ইতিমধ্যে আবেদনও করেছেন। এ বার সইফের বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা নমুনার সঙ্গে মিলল না শরিফুলের হাতের ছাপও।
১৬ জানুয়ারি ভোরে রক্তাক্ত অবস্থায় মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় সইফকে। দাবি করা হয়, আগের রাতে কোনও দুষ্কৃতী ঢুকে পড়ে তাঁর বাড়িতে। ডাকাতিতে বাধা পেয়েই গৃহকর্তার উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয়। তদন্তে নেমে গত ১৮ জানুয়ারি মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখার সদস্যরা ঠাণে এলাকার এক শ্রমিক বসতি থেকে গ্রেফতার করে শরিফুলকে।
এ বার সেই তদন্তের মোড় কি ঘুরতে চলেছে অন্য দিকে? ঘটনার পর সইফের বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে ১৯টি আঙুলের ছাপ। এতগুলি ছাপের মধ্যে একটির সঙ্গেও মিল নেই শরিফুলের হাতের ছাপের। জানা গিয়েছে, ধৃত শরিফুল ইসলাম শেহজ়াদের ১০টি আঙুলের ছাপ পাঠানো হয়েছিল ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য। মহারাষ্ট্র সিআইডি-র ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞরা যে রিপোর্ট দিয়েছেন তাতে জানা যাচ্ছে, সইফের বাড়ি থেকে পাওয়া ১৯টি নমুনার একটিও মিলছে না শরিফুলের সঙ্গে। প্রশ্ন উঠছে, আদৌ শরিফুলই সইফের বাড়িতে হামলা চালিয়েছিলেন তো? না কি শরিফুলের বাবার সন্দেহই ঠিক।