‘অমর সঙ্গী’র ছেড়া পোস্টার দেখে হতাশ বিক্রম চট্টোপাধ্য়ায়। ছবি: ফেসবুক।
শহরের দেওয়ালে দেওয়ালে পোস্টার। ৩১ জানুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে বিক্রম চট্টোপাধ্যায়-সোহিনী সরকার অভিনীত ছবি ‘অমর সঙ্গী’। সদ্য ছবির প্রথম ঝলক মুক্তি পেয়েছে। সেই সব সামান্য মুহূর্ত দেখেই খুশি দর্শক অনুরাগীরা। ছবির নায়ক জানিয়েছেন, ছবি দেখার জন্য মুখিয়ে তাঁরা। ঠিক তখনই বিক্রমের সমাজমাধ্যমে দেখা গেল একটি পোস্ট। প্রথম পোস্টার পড়ার পরেই রাতারাতি কে বা কারা যেন সেই পোস্টার ছিঁড়ে দিয়েছে! রাস্তার ধারে স্তূপাকারে পড়ে ছেড়া পোস্টারের রাশি।
আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করতেই ক্ষোভ ঝরেছে অভিনেতার গলায়। বলেছেন, “একই দিনে আরও ছবি মুক্তি পাচ্ছে। সেই ছবির পোস্টার রয়েছে। কেবল আমাদের ছবির উপরেই কোপ!” কে বা কারা এমন কাজ করতে পারেন? প্রশ্ন রাখা হয়েছিল তাঁর কাছে। নায়কের কথায়, “কে বা কারা করেছে-র থেকে কী হয়েছে— জানাটা আমার বেশি জরুরি। এই ধরনের আচরণ একটু হলেও তো মনকে দমিয়ে দেয়!”
পোস্টার লাগানোর পর প্রযোজক, টিমের বাকি লোক এবং বিক্রম নিজে দেখতে বেরোন, যেখানে পোস্টার লাগানো হয়েছে সে গুলো সব ঠিক আছে কি না! সেই অনুযায়ী রাতে রাস্তায় বেরিয়ে সব দেখে তাঁদের মাথায় হাত। আফসোস করে বলেছেন, “আমাদের অনেকটা রক্ত, ঘাম মিশে আছে এই সিনেমা নির্মাণের সঙ্গে, অনেকটা স্বপ্নও। ছবির প্রচারের জন্য কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে প্রযোজক কয়েক হাজার পোস্টার ছাপিয়েছেন। ছবিমুক্তির আগে কী করে তাঁকে আবার নতুন পোস্টার তৈরির অনুরোধ জানাব? চেন্নাই থেকে পোস্টার বানিয়ে কলকাতায় আনাটাও কিন্তু খুব সহজ নয়।”
এক দিকে বাংলা ছবির পাশে দাঁড়ানোর আর্তি, অন্য দিকে ছবিমুক্তির পাঁচ দিন আগে এই কাণ্ড...!
এই প্রেক্ষিতে বিক্রমের বক্তব্য, “ভাল-মন্দ মানসিকতার মানুষ সব জায়গাতেই থাকবে। সেটা নিয়ে ভাবিত নই। আমার খারাপ লাগা অন্য জায়গা থেকে।” সাল ২০২৪ বাংলা ছবির বাণিজ্যিক খরা কিছুটা হলেও কাটিয়েছে। নানা স্বাদের ছবি তৈরি হয়েছে। দর্শক প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দেখেছেন। পছন্দের ছবির পাশে দাঁড়িয়েছেন। টলিউড যখন আবার ফিরে দাঁড়াচ্ছে তখনই এই পদক্ষেপ তাঁকে ব্যথিত করেছে। বিক্রমের হতাশা, “কেবল আমার ছবিরই পোস্টার নেই। দর্শকদের কী উত্তর দেব বলতে পারেন?”