‘আরআরআর’ ছবির সিক্যুয়েল নিয়ে কী ভাবনা রাজামৌলির? ছবি: সংগৃহীত।
অস্কারের মঞ্চে বিশ্বজয়। গোটা দুনিয়ার মুখে এখন একটাই গানের নাম, ‘নাটু নাটু’। তেলুগু ছবির ইতিহাসে নজির গড়ে গোটা দেশের গর্ব বাড়িয়েছে এস এস রাজামৌলির ছবি ‘আরআরআর’। গোল্ডেন গ্লোবসের মঞ্চে মিলেছে সেরা বিদেশি ভাষার ছবির সম্মান। অস্কারের মঞ্চে ‘নাটু নাটু’ ভূষিত হয়েছে সেরা মৌলিক গানের শিরোপায়। আপাতত, সাফল্য ও আনন্দের শিখরে রয়েছেন এসএস রাজামৌলি, এমএম কীরাবাণী ও ‘আরআরআর’ ছবির গোটা টিম। এর পরের মাইলফলক কী? অস্কারের এক আফটার পার্টিতে এই প্রশ্নের মুখোমুখি হন পরিচালক রাজামৌলি। ‘আরআরআর’ ছবির সিক্যুয়েল নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। অস্কারের আফটার পার্টিতে রাজামৌলি জানান, অস্কারের ম়ঞ্চে সাফল্যের পর সেই কাজ আরও দ্রুত গতিতে এগোবে বলেই আশা তাঁর।
রাজামৌলি জানান, ‘আরআরআর’ ছবির সিক্যুয়েলের চিত্রনাট্য লিখছেন তাঁর বাবা, চিত্রনাট্যকার বিজয়েন্দ্র প্রসাদ। রাজামৌলির বলেন, ‘‘অস্কার জয় অবশ্যই চিত্রনাট্য লেখার কাজে আরও গতি আনবে। দেখা যাক, কী হয়।’’ একই প্রশ্নে অস্কারজয়ী সঙ্গীত পরিচালক এমএম কীরাবাণীর উত্তর অবশ্য একটু ঘোরালো। তাঁর মতে, ‘‘এটা বেশ কঠিন প্রশ্ন।’’ গত বছর রাজামৌলিকে ‘আরআরআর’-এর সিক্যুয়েলের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, সিক্যুয়েল ছবি নিয়ে কোনও ভাবনাচিন্তা করেননি তিনি। আন্তর্জাতিক স্তরে ‘আরআরআর’ স্বীকৃতি পাওয়ার পরে অবশ্য সেই অবস্থান বদলান পরিতচালক। অস্কারের আফটার পার্টিতেই রাজামৌলি বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক স্তরে সাফল্যের পর সিক্যুয়েল প্রসঙ্গ উঠলে কীরাবাণী, যিনি সম্পর্কে আমার তুতো ভাই হন, তিনি একটা ভাবনা আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন। সেটা শুনেই আমার মনে হয়, এটা তো খুব আলাদা রকমের একটা ভাবনা। সেটা নিয়েই আমরা এগোই।’’ এই আলোচনার পরেই নাকি চিত্রনাট্য লেখার কাজে হাত লাগিয়েছেন বিজয়েন্দ্র প্রসাদ। রাজামৌলি জানান, চিত্রনাট্য লেখা শেষ হলেই ছবির শুটিং নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করবেন তাঁরা। তার পর মুক্তির তারিখ নির্ধারিত হবে। আপাতত অস্কার জয়ের সাফল্যে ভাসছে গোটা টিম।
সোমবার অস্কার জয়ের পর লস অ্যাঞ্জেলেসের বাড়িতে একটি পার্টিরও আয়োজন করেন রাজামৌলি। পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন কীরাবাণী, রাম চরণ, এনটিআর জুনিয়রের মতো তারকারা। সেখানে পিয়ানো বাজাতেও দেখা যায় অস্কারজয়ী সঙ্গীত পরিচালক কীরাবাণীকে।