নতুন ধারাবাহিক ‘পিলু’-তে রুদ্রজিৎ-প্রমিতা দেখা দিচ্ছেন একসঙ্গে।
দু’বছর আগের কথা। জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘সাত ভাই চম্পা’য় ‘পারুল’ প্রমিতা চক্রবর্তী। ‘রাজপুত্র’ রুদ্রজিৎ মুখোপাধ্যায়। তাঁদের জুটি মনে ধরেছিল ছোট পর্দার দর্শকদের। গত দু’বছরে তাঁদের জীবনে অনেক পরিবর্তন। পর্দার প্রেম বাস্তব হয়েছে। গত বছর প্রেমদিবসের পরেই তাঁরা সাতপাক ঘুরেছেন। ব্যস্ত জীবন থেকে সময় চুরি করে প্রায়ই নিজেদের মতো সময় কাটাতে দেখা যায় অভিনেতা দম্পতিকে। বিবাহবার্ষিকীর আগে তাঁদের প্রথম বড় উপহার দিল আবারও জি বাংলা-ই! সম্প্রতি চ্যানেলের নতুন ধারাবাহিক ‘পিলু’-তে রুদ্রজিৎ-প্রমিতা দেখা দিচ্ছেন একসঙ্গে। আবারও তাঁরা ‘জুটি’।
গানের ধারাবাহিকে তাঁদের চরিত্র কেমন? অভিনেতা-অভিনেত্রী উভয়েই কথা বলেছেন আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে। প্রমিতার কথায়, ‘‘গানের ধারাবাহিকে আমি শিঞ্জিনী। রুদ্রজিৎ রঙ্গন। দু’জনেই গান ভালবাসি। তবে আমি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ভক্ত। রুদ্র সারাক্ষণ গিটার হাতে ব্যস্ত।’’ বিপরীত স্বভাবের দুই নর-নারী প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে কাছাকাছি আসবে। এ বার রুদ্রজিতের সংযোজন, ‘‘শুধু গান নয় আচরণেও আমরা আলাদা। আমি পর্দায় হুল্লোড়ে। প্রমিতা গম্ভীর। অথচ বাস্তবে আমরা ঠিক এর উল্টো। আমি চুপ থাকি। ও হইহই করে। ফলে, বিপরীত চরিত্র করতে খুবই মজা লাগছে।’’
বিপদও তো হচ্ছে? সারা ক্ষণ বউয়ের নজরদারি! ঘরে-বাইরে একই মুখ দেখা। অন্য অভিনেত্রী হলে খুনসুটি হতেই পারত? কবুল করলেন রুদ্রজিৎ, ‘‘সেটা হত কিনা জানি না। তবে বিপরীতে নিজের স্ত্রী থাকার সুবিধে অনেক। কোনও কারণে অভিনয়ে খামতি থেকে গেলে সেটা সামলে দিচ্ছে। মন খারাপ থাকলে সেটাও বুঝে নিয়ে সেই মতো অভিনয় করছে।’’ এই নিয়ে নাকি সেটে সবাই তাঁদের পিছনেও লাগছে! কথাটা প্রমিতাকে বলতেই তিনি হাঁ হাঁ করে উঠেছেন। তাঁর দাবি, নজরদারিই হোক বা যা-ই হোক, এই বেশ ভাল হচ্ছে। একসঙ্গে বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন। সেটে থাকছেন একসঙ্গে। আবার ফিরছেনও সেভাবেই। ‘‘তা ছাড়া, পর্দায় আমি গম্ভীর। তাই চিত্রনাট্যের খাতিরে রুদ্রজিৎ আমায় ভয় পেতে বাধ্য হচ্ছে। যা বাস্তবে কম। আমি তাই দারুণ উপভোগ করছি’’, হাসতে হাসতে বলেছেন প্রমিতা।
চ্যানেল তাঁদের মিলিয়েছিল। সেই মিলনের প্রাক উদযাপন চ্যানেল সূত্রেই। প্রেমদিবস, বিয়ের বছরপূর্তি উপলক্ষে অভিনেতা দম্পতির কী পরিকল্পনা? অভিনেত্রী বলেছেন, ‘‘ভ্যালেনটাইন ডে-তে বিশেষ ভিডিয়ো বেরোবে আমাদের। ১৩ ফেব্রুয়ারি রবিবার, ছুটি। ওই দিন কিছু কাছের বন্ধুদের সঙ্গে হয়তো খাওয়া দাওয়া করব। আর ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে আগাম ছুটি চেয়ে রেখেছি। বিয়ের আগে যেভাবে সময় কাটাতাম সেভাবেই আমাদের মতো করে থাকব আমরা।’’