Stray Dog

Viral: দরজায় টোকা দিয়ে খাবার নিয়ে যায় ঠিকানাহীন চারপেয়েরা, দেখুন ভিডিয়ো

দোকানে এলেই খাবার পায় ঠিকানাহীন চারপেয়েরা। দেরি হলে লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে খাবারের দাবিও জানায়। ইক্রম কাউকেই ফেরান না।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৯:৪১
ইক্রম পেশাদার কসাই। ব্যবসায়ীও। তবে ‘চারপেয়ে অতিথি’ দের দেখলেই মুখের সামনে খাবার ধরেন।

ইক্রম পেশাদার কসাই। ব্যবসায়ীও। তবে ‘চারপেয়ে অতিথি’ দের দেখলেই মুখের সামনে খাবার ধরেন।

দোকানে এলেই খাবার পায় ঠিকানাহীন চারপেয়েরা। দেরি হলে লাফিয়ে ঝাঁপিয়ে খাবারের দাবিও জানায়। ইক্রম কাউকেই ফেরান না। ইক্রম পেশাদার কসাই। ব্যবসায়ীও। তবে ‘চারপেয়ে অতিথি’ দের দেখলেই মুখের সামনে খাবার ধরেন। এমনকি খাওয়া দাওয়ার পর আরামের ঘুমেরও ব্যবস্থা করে দেন। আর এই সবই ইক্রম করেন তাঁর পুরনো বন্ধু ইয়াসিমের স্মৃতিতে।

ইয়াসিমও ওই ঠিকানাহীনদেরই একজন। ইক্রমের প্রথম চারপেয়ে বন্ধু। দু’জনের বন্ধুত্বের গল্প বলা একখানি ভিডিয়ো সম্প্রতি নেট মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। গল্পটা কিছুটা এইরকম— ইক্রমের কসাইখানায় হঠাৎই একদিন হাজির হয় ধূসর রঙের একটি বিড়াল। কাঁচের দরজায় টোকা দেয় সে। দরজা খুলতেই ভিতরে ঢুকে সোজা চলে আসে মাংসের শো-কেসের সামনে। খাবারের দিকে তাকিয়ে বুঝিয়ে দেয় খাবার চাই। সেই প্রথম। তারপর নিয়মিত। ইক্রমের দোকানে রোজ নির্দিষ্ট সময় এসে একই ভাবে কাঁচের শো-কেসের সামনে দাঁড়িয়ে খাবার চেয়েছে ওই বিড়াল। ধীরে ধীরে দু’জনের বন্ধুত্ব হয়। ইক্রম বন্ধুর নামও রাখেন। ইয়াসিম। কিছুদিন পরেই ইয়াসিম মারাও যায়।

Advertisement

ততদিনে ইক্রমের মন জুড়ে ইয়াসিম। নিজের বাড়ির বাগানেই বন্ধুর শেষ শয্যা পাতেন ইক্রম। তারপর ইয়াসিমের স্মৃতিতেই ঠিকানাহীন পথকুকুর আর বিড়ালদের নিয়মিত খাবার বিলি করতে শুরু করেন। দোকানের বাইরে তাদের আরাম করার জন্য পেতে দেন মোটা কার্পেট। একটি মূর্তিও তৈরি করেন ইয়াসিমের। সেই মূর্তি রাখা আছে কাঁচের শো-কেসের নীচে। ঠিক যেখানে এসে রোজ হাত বাড়িয়ে ইক্রমের কাছে খাবার চাইত তার বন্ধু।

আরও পড়ুন
Advertisement