Tarun Majumdar

Ranjit On Tarun : মানুষ চলে যায়, রয়ে যায় তাঁর কাজ, আমি ভাগ্যবান ওঁর সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়েছি: রঞ্জিত

২০০৭-সালে তরুণবাবুকে পরিচালক হিসেবে পাই। পরিচালকের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক।

Advertisement
রঞ্জিত মল্লিক
রঞ্জিত মল্লিক
শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২২ ১২:৪৭
তরুণ মজুমদারের স্মৃতিতে রঞ্জিত মল্লিক

তরুণ মজুমদারের স্মৃতিতে রঞ্জিত মল্লিক

জীবনের অনেক বছর পেরিয়ে এসে ওঁর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয় আমার। তরুণবাবু তখন প্রায় ৭৭। আমারও তখন চুলে পাক ধরেছে। একসঙ্গে সেই প্রথম কাজ, ‘চাঁদের বাড়ি’। এতগুলো ছবির পর পরিচালক হিসেবে পাই তাঁকে। ভাল, গুণী মানুষের সঙ্গে কাজ করতে কার না ভাল লাগে। ২০০৭ সালে এসে সেই স্বপ্ন পূরণ হয়।

Advertisement

খুব বেশি সময় কাটাতে পারিনি একসঙ্গে। আমার থেকে অনেক সিনিয়র ছিলেন। বেশিরভাগ সময় ছবির চরিত্র, দৃশ্য নিয়েই আলোচনা হত। খুব অল্প সময়ই ওঁর থেকে অনেক কিছু শিখেছি। শেষ কয়েক দিন ধরেই খবরে দেখছিলাম উনি খুবই অসুস্থ ছিলেন। সেই সময়কার সব মানুষই একে একে চলে যাচ্ছেন। ঐ প্রজন্মের পরিচালকদের মধ্যে তরুণবাবুই মনে হয় শেষ, যিনি ছিলেন।

অসংখ্য ভাল-ভাল ছবি তৈরি করেছিলেন মানুষটা। ‘গণদেবতা’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘বালিকা বধূ’, ‘পলাতক’— আমার সৌভাগ্য যে আমি ওঁর পরিচালিত একটি ছবিতে অভিনয় করতে পেরেছি।

সময় তো কখনও থেমে থাকে না। এক দিন না এক দিন সবাইকে চলে যেতে হয়। মানুষ চলে যায়, রয়ে যায় তাঁর কাজ। উনি তাঁর কাজের মধ্যে দিয়েই বেঁচে থাকবেন। আমি তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।

Advertisement
আরও পড়ুন