Tarun Majumdar

Moushumi on Tarun: মেয়ের মতোই ভাবতেন, দুষ্টুমি করেছি বলে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন আমাকে: মৌসুমী

তরুণ মজুমদারের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ টলিউড। জীবনের প্রথম ছবির পরিচালক আর নেই। শোকের পাশাপাশি স্মৃতিতে ভাসলেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা 
শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২২ ১১:৫৮
তরুণ মজুমদারের প্রয়াণে স্মৃতিতে ভাসলেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়

তরুণ মজুমদারের প্রয়াণে স্মৃতিতে ভাসলেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়

তাঁর হাত ধরেই চিনতে শেখা রোল ক্যামেরা, লাইট, অ্যাকশন। ‘রজনী’কে কি ভোলা সম্ভব! ১৯৬৭ সালে তরুণ মজুমদারের হাত ধরেই বাংলা সিনেমা পেয়েছিল নতুন নায়িকা। মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়।

জীবনের প্রথম ছবির পরিচালক আজ আর নেই। প্রায় কয়েক যুগের সম্পর্ক। এই মনখারাপের দিনে ৫৫ বছর আগের স্মৃতিতে ডুব দিলেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, ‘‘জীবনে আর এক বাবাকে হারালাম।’’

Advertisement

এই ইন্ডস্ট্রিতে তাঁর হাত ধরেই পথ চলা শুরু বর্ষীয়ান নায়িকার। শুরুর দিনগুলোর কথা তিনি কোনওদিন ভুলতে পারবেন না। অভিনেত্রী বলেন, ‘‘আমার জীবনে তিন জন বাবা। এক আমার বাবা, দ্বিতীয় আমার শ্বশুর (হেমন্ত মুখোপাধ্যায়) আর তৃতীয় আমার সিনেমার বাবা তিনি তরুণ মজুমদার। ওঁর হাত ধরেই ক্যামেরার সামনে আমার পরিচয়। উনি আমার পিতৃসম।’’

কথা বলতে গিয়ে থামলেন। গলা বুজে আসছিল। ফিরে গেলেন প্রথম ছবির সেই দিনগুলোয়। বললেন, ‘‘প্রথম ছবি করার সময় তখন তো আমি খুবই ছোট। খুব দুষ্টুমি করতাম। বকুনিও খেতাম। ‘বালিকা বধূ’র সেটে কান ধরে দাঁড় করিয়েও রেখেছিলেন। একে একে সবাই চলে যাচ্ছে, আমি কান ধরে দাঁড়িয়ে আছি। দুঃখ হয়েছিল খুব।’’ শেষ কবে দেখা হয়েছিল এই বাবা আর মেয়ের? মৌসুমী বললেন, ‘‘তিন বছর আগে কলকাতায় এসেছিলাম, তখন সন্ধ্যাদির সঙ্গে দেখা হয়েছিল। ওঁর সঙ্গে দেখা হয়নি। আমার বড় মেয়ে চলে যাওয়ার পর স্বামীকে রেখে কলকাতায় আর আসতে পারি না। কিন্তু সব সময় মনে পড়ে সন্ধ্যাদির কথা, তরুণদার কথা, সব স্মৃতিই জীবন্ত হয়ে চোখের সামনে ঘুরতে থাকে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন